বাণিজ্য মেলায় পাটজাত পণ্যে নিয়ে এসেছে জেডিপিসি
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিগত দিনে আমাদের সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রাই অর্জিত হতো পাট খাতের মাধ্যমে। রাজধানীতে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)’ প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে নজরকাড়া সব পাটজাত পণ্যে।
পাট পণ্যসামগ্রী বাজারজাতকরণে বিপণন ও প্রচারণামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্যবারের ন্যায় এবারও বাণিজ্য মেলায় স্টল দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সারা দেশের সাতটি জুট এন্ট্রাপ্রেনিউর সার্ভিস সেন্টার ঢাকা জেইএসসি, নরসিংদী জেইএসসি, রংপুর জেইএসসি, যশোর জেইএসসি, চট্টগ্রাম জেইএসসি, টাঙ্গাইল জেইএসসি এবং জামালপুর জেইএসসি মেলায় অংশ নিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বাণিজ্য মেলায় সরেজমিনে দেখা যায়, জেইএসসি এর তালিকাভুক্ত ২০টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’ একটি প্যাভিলিয়নে অংশ নিয়েছেন হরেক রকম পাটজাত পণ্য নিয়ে। এখানে রয়েছে শতরঞ্জি, পাটের তৈরি টেবিল মেট, পাপোশ এবং তাঁতের তৈরি লেডিস ভেনেটি, ট্রাভেল হ্যান্ড পার্স, মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, আইপ্যাড এবং সকল প্রকার অফিস ব্যাগ। এছাড়াও থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, নকশি কাথা, বেট শিট, লেডিস এবং জেন্টস ফতুয়া, মেক্সি, শতরঞ্জি, পাপোশ ওয়ালমেট পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
মেলায় কথা হয় হল ক্লাসিকেল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্ট বিডির নারী উদ্যোক্তা রুকাইয়া নাজরিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গৃহস্থলীর প্রয়োজনীয় ও রুচিশীল সব কিচেন পণ্য, টেবিল মেট ব্যাগ সবই মিলছে এখানে। পাটের তৈরি শতাধিক পণ্য আমরা বিদেশে রফতানি করে থাকি। তবে দেশের ক্রেতা সাধারণের আগ্রহ থাকায় হরেকরকম পণ্যের পসরা সাজানো হয়েছে মেলায়।
হাউজ ডেকোর আইটেমগুলো ক্রেতাদের নজর কাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রংপুর ক্র্যাফট এর স্টলে গিয়ে দেখা যায় নারী ক্রেতাদের ভিড়। সেখানে সাবিনা নামে এক নারী ক্রেতা বলেন, দেশীয় পণ্য রুচিশীল বটে। তবে দামে একটু বেশিই। যদিও বাইরের ফ্যাশন হাউজের চেয়ে এখানে বৈচিত্র বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পছন্দ হচ্ছে কিন্তু দামে আটকে যাচ্ছি।
রংপুর ক্র্যাফট এর ডিরেক্টর নয়নমনি জানান, পাট ও পাটপণ্য সামগ্রী বহুমুখীকরণে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছে জেডিপিসি। এখানে স্টল নেয়া মূলত সে কারণেই। মেলায় বেশ সাড়া পাচ্ছি। তবে আমাদের বিক্রির একটা উদ্দেশ্য হলেও পরিচিতিটাই মুখ্য। নতুন সব পাটজাত পণ্যের সমাহার রাখা হয়েছে।
এভারগ্রীন জুট টেক্সটাইলের কর্মচারী সামছুল জানান, আমাদের এই প্যাভিলিয়নে জুটের তৈরি প্রায় সব রকমের পণ্যই আছে এখানে।
মেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কিন প্রিন্টের ৪.৮ ইঞ্চি সাইজের লেডিস বটুয়া (লেদার/কটন/জুট কটন) মিলছে ৫০০-৯০০ টাকায়। জুটের ল্যাপটপ ব্যাগ মিলছে ৮০০-২০০০ টাকায়। হরেক রঙয়ের ফ্লোর ম্যাট (ছোট জুট ও কটন) ২০০-২০০০ টাকায়।
টেবিল রানার ৫০০-১০০০ টাকা, লেডিসব্যাগ ৩৫০-৪৫০ টাকায়, ফ্রুট বক্স ১২০-৫০০ টাকা, ট্রাভেলস ব্যাগ ৭০০-১৮০০ টাকা, বাহারি ফ্লোর মেট ২০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত, নার্সারী পট ৮০-২০০ টাকা, জট অর্নামেন্ট ৮০-৩০০ টাকা, জট পর্দা ৭০০ -১২০০ টাকা, লেডিস পার্স ৪০০-৮০০ টাকা, জুট কটনের বেড শিট ১২০০-২৫০০ টাকা।
চিত্রদেশ//এস//