বাংলাদেশি না হলে বিদায় করে দেব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেট প্রতিনিধি:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তারা বাংলাদেশি না হলে বিদায় করে দেয়া হবে। ভারত সরকার জানিয়েছে, জোর করে কাউকে পুশব্যাক করবে না।’
বুধবার দুপুর আড়াইটায় সিলেট নগরভবনে ‘নগর এক্সপ্রেস’ বাস সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতে যদি বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অবৈধভাবে থেকে থাকে, তাদের সঠিক যাচাই-বাছাই করে প্রক্রিয়ামাফিক ফেরত আনা হবে। একথা ভারতকেও জানানো হয়েছে।’
এ সময় মঙ্গলবার একনেকের সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার উন্নয়নে ১২২৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ সিলেটে নগর এক্সপ্রেস বাস সার্ভিস চালু হয়েছে, এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। যা নগরবাসীর জন্য সুবিধাজনক হবে বলে আমার প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর সুবিধার জন্য আজ থেকে সিলেটে নগর এক্সপ্রেস বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। আমরা কোনো পরিবহন মালিক, শ্রমিকদের প্রতিপক্ষ নই। সবাই মিলে আমরা সিলেট শহরের যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে চাই। সবাইকে নিয়ে সিলেটকে একটি মডেল নগরী গড়ে তুলতে চাই।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও নগর এক্সপ্রেস সিটি বাস মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক মখলিছুর রহমান কামরানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, নিটল মোটরসের বাস ডিভিশনের প্রোডাক্ট প্রেসিডেন্ট মো. জাফর উল্লাহ, সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও নিটল মোটরসের ডিলার এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
সিলেট নগরী ও এর আশপাশ এলাকার লোকজনকে সেবা দিতে ৪১টি বাস নিয়ে প্রত্যাশিত এ পরিবহন যাত্রা শুরু করেছে। নগর এক্সপ্রেসের ৪১ বাসের মধ্যে নারীদের জন্য থাকছে আলাদা একটি বাস। যার চালক এবং সহযোগীও থাকবেন নারী। প্রাথমিকভাবে এই বাসগুলো টুকেরবাজার থেকে মেডিকেল রোড হয়ে হেতিমগঞ্জ যাবে। টুকেরবাজার থেকে বন্দর টু বটেশ্বর, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট থেকে হেতিমগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট থেকে কদমতলী হয়ে মোগলাবাজারের হাজীগঞ্জে যাবে।
ইতিমধ্যে দক্ষ চালক ও সুপারভাইজার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রীরা টিকিট কেটে সেবা গ্রহণ করবেন।
চিত্রদেশ//এস//