
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে হতাহত ৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর গুলিতে আটজন হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বন্দুকধারীর গুলিতে হতাহতদের মধ্যে দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে নিহতরা শিক্ষার্থী নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী তালাহাসি লিওন কাউন্টির শেরিফ ওয়াল্টার ম্যাকনিল বলেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারী ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। বন্দুকধারী আমাদের বাহিনীর এক কর্মকর্তার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে যে সব বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি ওই কর্মকর্তার।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গুলি করেছে পুলিশ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির (এফএসইউ) শিক্ষার্থী। তিনি স্থানীয় ডেপুটি শেরিফের সন্তান। তিনি এমন একটি হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছেন, যেটি তার মা দায়িত্ব পালনের সময় ব্যবহার করতেন।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেন, এফএসইউ পরিবারের সঙ্গে আমরাও প্রার্থনা করছি। রাজ্যের আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ করছেন। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাগুলির ঘটনা শুরুর পর শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসে থাকা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তাদের ‘আশ্রয় খুঁজতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে’ বলা হয়েছিল।
সিবিএস নিউজ মিয়ামিকে এফএসইউর শিক্ষার্থী আভা আরেনাডো বলেন, আমার এক সহপাঠী তার ফোনে একটি সতর্কতা পায় এবং ক্লাসের বাকিদের কাছে তা পড়ে শোনায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী ব্লেক লিওনার্ড সিবিএসকে বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে ১২টি গুলির শব্দ শুনেছি।
এ ঘটনায় স্থানীয় সময় শুক্রবার পর্যন্ত সব ক্লাস বাতিল করেছে এফএসইউ। এ ছাড়া, চলতি সপ্তাহের সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গোলাগুলির ঘটনা সম্পর্কে তাকে জানানো হয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।