প্রধান সংবাদস্বাস্থ্য কথা

ফাইজারের পর ওমিক্রন প্রতিরোধী টিকার পরীক্ষায় মডার্না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নতুন একটি বুস্টার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান মডার্না। নতুন এই বুস্টার টিকাটি ভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি এই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরেক ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার এবং এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে তৈরি টিকার বুস্টার ডোজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর কথা জানায়। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মডার্না যে বুস্টার ডোজটি তৈরি করেছে, ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সেটি ৬০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তি থাকবেন যারা কমপক্ষে ৬ মাস আগে মডার্নার করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।

আর বাকি অর্ধেক ব্যক্তি যারা করোনা টিকার দু’টি ডোজ নেওয়ার পাশাপাশি ইতোমধ্যেই একটি বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে টার্গেট করে তৈরি করা টিকার এই ডোজটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়া ওমিক্রন প্রতিরোধে তাদের তৈরি টিকার বুস্টার ডোজে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে মডার্না।

এর আগে গত মঙ্গলবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে তৈরি টিকার বুস্টার ডোজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরুর কথা জানায় ফাইজার। সেসময় এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ১৪০০ জনেরও বেশি সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে টিকার নতুন বুস্টার ডোজ পরীক্ষা করা হবে।

এদিকে ৪০টিরও বেশি দেশে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সংস্করণের ওপর বিজ্ঞানীরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে বিএ.২ নামে ডাকা হচ্ছে। শুধু এই মাসেই ব্রিটেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে।

ডেনমার্কের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিএ.১ নামের প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে বিএ.২ আলাদা এবং এটি দেশের প্রায় অর্ধেক নতুন সংক্রমণের জন্য দায়ী।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button