‘প্রেস’ লেখা স্কুটির নিহত দুই নারী সাংবাদিক নন
স্টাফ রিপোর্টার:
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী সেতু ভবনের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুটিতে (ঢাকা মেট্রো হ ২৪-৪২৮৩) থাকা দুই নারী নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা একটি স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন। ওই স্কুটিতে ‘প্রেস’ লেখা ছিল।
দুর্ঘটনার পর থেকেই সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তবে পুলিশের ধারণা ‘প্রেস’ লেখা স্কুটি দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারী সংবাদকর্মী নন।
পুলিশ বলছে, নিহত সৈয়দা কচি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর এলাকার মৃত সৈয়দ ফজলুল হকের মেয়ে ও পার্ল ইন্টারন্যাশনালের টেরিটরি অফিসার এবং অপরজন সোনিয়া ভোলার মাছদেলছড়িয়ার রুহুল আমিনের মেয়ে। সোনিয়া তার ভাই রুবেলের সঙ্গে মিরপুরের শাহআলীতে থাকতেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে একটি স্কুটি নিয়ে ওই দুই নারী মহাখালী এলাকার সেতু ভবনের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের স্কুটিতে ‘প্রেস’ লেখা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তারা সংবাদকর্মী বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
বনানী থানার উপপরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলেই দুজন নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মাথায় হ্যালমেট থাকলেও তা খুলে পড়েছে এবং ভেঙে গেছে। তাদের স্কুটিতে প্রেস লেখা ছিল। খবর পেয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে সেতু ভবনের সামনে যায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, সেতু ভবনের সামনে স্কুটি চালিয়ে যাওয়ার সময় কোনো এক যানবাহনের ধাক্কায় স্কুটারে থাকা দুই নারী ছিটকে পড়েন। পথচারীরা দ্রুত তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, তাদের স্কুটিতে প্রেস লেখা থাকলেও তারা সাংবাদিক কিনা, সেটা জানা যায়নি। তারা দু’জনই পার্ল ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।
চিত্রদেশ//এফ টি//