প্রস্তাবিত ‘শাটডাউনে’ থাকতে পারে যেসব বিধিনিষেধ
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির এই সুপারিশকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে বিধিনিষেধ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশের তথ্য জানিয়েছেন কোভিড কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, জরুরি সেবা বলতে ওষুধ, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম ছাড়া সবকিছু দুই সপ্তাহ বন্ধ করে মানুষ যদি এই স্যাক্রিফাইস-কষ্টটুকু মেনে নেয়, তাহলে আগামীতে ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, দিল্লি এবং মুম্বাইতে শাটডাউন দিয়ে ফলাফল পেয়েছে। সেখানে ৬ সপ্তাহ গণপরিবহন বন্ধ ছিল, এছাড়া দিল্লিতে আরও ৩ সপ্তাহ ছিল। দিল্লিতে প্রতিদিন একসময় ২৮ হাজার শনাক্ত হতেন, কিন্তু এখন সেখানে ১৫০ শনাক্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও কমে এসেছে।
এদিকে পরামর্শক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগের বিশেষ ডেল্টা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতোমধ্যেই রোগের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। রোগ প্রতিরোধের জন্য খণ্ড খণ্ড ভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার সংক্রমণ যেহেতু বাড়ছে। এজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা এবং স্থানীয়ভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি এখন যে সুপারিশ করেছে- সেটি যৌক্তিক। সরকারেরও ইতিমধ্যে এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। কঠোর বিধি-নিষেধের চিন্তা-ভাবনা সরকারও করছে। যে কোনো সময় তা ঘোষণা দেয়া হবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমানে সারাদেশে বিধিনিষেধ চলছে। এই বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা। এর বাইরে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে।
চিত্রদেশ//এফটি//