অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনার মধ্যেও গেলো ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। প্রবাসীরা ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা টাকার হিসাবে দুই লাখ ১০ হাজার ৬১০ কোটি টাকার বেশি। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে।

বিধিনিষেধের মধ্যেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন আদেশ জারি
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গেলো অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ১৯৪ কোটি ডলার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ফলে পুরো অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

এদিকে গেল ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা সরকারি ৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬১০ কোটি ৬২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। বিশেষায়িত একটি ব্যাংকে এসেছে ৪১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বেসরকারি ৩৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর বিদেশি ৮ ব্যাংকে এসেছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে গত অর্থবছরে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে। ব্যাংকটিতে ৭৪৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এর পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮২ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে অগ্রণী ব্যাংকে। ২৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এনে তৃতীয় অবস্থানে আছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকে এসেছে ১৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

অন্যদিকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। জুন মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুদ এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ১১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

উল্লেখ্য, বৈধ পথে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। কোনো কোনো ব্যাংক ৩ শতাংশ হারে প্রানোদনা দিচ্ছে।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button