রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ : ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার:
বর্তমান সংসদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে অর্থনীতি হচ্ছে প্রধান সংকট। এটা হচ্ছে পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক সংকট। এ সরকার একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এমন একটি নির্বাচন হয়েছে যেটা ৩০ তারিখে হয়নি ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি হয়েছে। সেই হিসেবে জাতির একটি প্রত্যাশা ছিল সংকট নিরসনের একটি পথ তার বক্তব্যে থাকবে। এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের কথা বা এমন কোনো ইঙ্গিত দেবেন বা কোনো একটা সংলাপের কথা বলবেন, কিন্তু কোনোটাই তিনি করেননি। সংকট নিরসনের জন্য তিনি কোনো পথ দেখাননি।

তিনি বলেন, অন্যদিকে যে বক্তব্যগুলো রেখেছেন তা সত্য নয়। যেমন তিনি বলেছেন, ‘৭৫-এর পরের বছরগুলোতে মানুষ জরাজীর্ণ ছিল, মানুষের কঙ্কালদেহ ছিল’ -এ কথাগুলো চরম উল্টো। তার আগে ৭২-৭৫ সালে এ দেশে একটি চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে, তাদের দুঃশাসনের কারণে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭৫-এর পরে জিয়াউর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বে এ দেশে পরিবর্তন ঘটে। আজকে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক ভিত্তি এটার রচনা করেন জিয়াউর রহমান। এর মধ্যে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেন। যার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। আর অর্থনীতির যে ভিত্তি গড়ে তোলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি। বিদেশের কাছে উন্মুক্ত হাওয়া রফতানি বাড়ানো। সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস সেক্টরগুলোতে যার মাধ্যমে আমরা টিকে আছি এবং রেমিট্যান্স, এ জিনিসগুলো জিয়াউর রহমান শুরু করেন। এ বিষয়গুলো তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বক্তৃতায় তুলে ধরেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে দোষারোপ করা হয়েছে শুধু বিএনপিকে যে, বিএনপি সন্ত্রাস করেছে। ভুলে গেছেন ওনারা যে, ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে এবং সেই সময় বাসে ১১ জন ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আর অনেক লোক নিহত হয়েছিল, ওই আন্দোলনের ফলে। দেশের রাজনীতির যে কালচার ছিল এখনো আছে, যেটা সরকার করছেন। তারা হত্যা করছে, তুলে নিয়ে গিয়ে মারছেন, নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই জিনিসগুলো তার বক্তব্যের মধ্যে আসেনি, বক্তব্যের মধ্যে আশা রাখতে বলেছেন, ভরসা রাখতে বলেছেন। সেই ভরসা মানুষ কোথা থেকে রাখবে? অর্থনীতি চরমভাবে নিচে নেমে গেছে। অর্থনীতির বর্ণনায় তিনি যা দিয়েছেন হচ্ছে তার পুরো উল্টো। ব্যাংকগুলো ভেঙে পড়েছে, মানুষ আস্থা রাখবে কোথায়?

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button