প্রধান সংবাদ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে প্রতিবছর রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাজিয়া মিছিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপরও নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি ছাড়াই রাস্তায় মিছিল বের করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরানো ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালান থেকে মিছিলটি বের হয়ে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নিউ মার্কেট ও জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, করোনা বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ। আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও তাজিয়া মিছিল বের হওয়ার কোনো খবর পাইনি। কোনোভাবেই তাজিয়া মিছিল বের করতে দেওয়া হবে না। করোনার বিধিনিষেধ পরিপালনে কাজ করছে পুলিশ।

এদিকে রাজধানীর আজিমপুরে ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শতাধিক যুবক মিছিল নিয়ে বের হয়েছে। এছাড়া হোসেনি দালান এলাকায় সবাই জড়ো হয়ে মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ১০ মুহররম তাজিয়া মিছিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হযরত মুহাম্মদের (সা.) দৌহিত্র ইমাম হোসেনের (রা.) শহীদ হওয়ার স্মরণে প্রতি বছর শিয়া সম্প্রদায় এ তাজিয়া মিছিল বের করে থাকে।

কিন্তু করোনার কারণে এবার সেটি বন্ধ থাকবে বলে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কারবালার শোক স্মরণে প্রতিবছর আশুরার দিনে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বিশাল তাজিয়া মিছিল বের করা হয়।

করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি। তবে শুক্রবার হওয়ার এ ছুটি আমেজ তেমন থাকবে না।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহম্মদের (সা.) দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বমুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button