নিজেকে ভালো রাখা
প্রত্যেকটা মানুষের নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব তার নিজেরই। কারণ একজনের শরীর খারাপ, মন খারাপে অন্য কারও তেমন কিছুই আসে যায় না। তবুও আমরা প্রিয়জনের সহানূভূতি আশা করি। কেউ এগিয়ে আসবে আপনার কষ্টে অশ্রুসিক্ত চোখ মুছে দিতে এমনটি আশা করা বোকামী। কারণ এ পৃথিবী আপন গতিতে চলে। ভাের হবে, পাখী ডাকবেই, ব্যস্ততা বাড়বেই যার যার স্বত:স্ফূর্ত দৈনন্দিন রুটিনে। তবু কেন নিজেকে এত দু:খি ব্যক্তিত্বের মাঝে ডুবে ডুবে থাকতে হবে। কেন নিজেকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে হবে কেউ একজন আপনার সাথে কথা বলার জন্য সময় বের করে রাখবে রোজ। তারচেয়ে বরং সবাই নিজেকে নিজে সময় দেই,নিজের যত্ন নেই, নিজেকে ব্যস্ত রাখি কোন ভাল কাজে। আমাদের সমাজে আদিকাল থেকে আমাদের বয়ো:জ্যষ্ঠ্যরা তাদের সংসার সামলাতে যেয়ে নিজের কথা ভুলে যান। তারা সংসারের সবার খুশির জন্য প্রানান্ত চেষ্টা করে যান । আর পরিবারের সদস্যরা মনে করেন ‘তাদের’ দায়িত্বটাই এমন। অথচ এত পরিশ্রমের পর ঠিক সময়ে গোসল, খাওয়া,ঘুম তারই বেশি প্রয়োজন। এ কথা সংসারে ক’জন ভাবে। তারা সংসারের সমস্ত দায়িত্ব শেষ করে নিজের যত্ন সঠিক সময়ে ঠিকমত করেন না। ফলে তারা অল্প বয়সেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বয়সের আগেই বৃদ্ধ হয়ে পড়েন। অনেকে বুঝতে পারে
সুযোগ থাকতেও আমি নিজেকে ঠকিয়েছি, নিজের জন্য কিছু করি নাই, ভাল কাপড়-চোপড় পরি নাই,সাজগোজ করি নাই। তখন আর অনেক সময়ই সে সময়টুকুও থাকে না। তখন পৃথিবী থেকে চলে যাবার ডাক আসে তাই পৃথিবীতে বাঁচতে হলে সুন্দরভাবে বাঁচতে হবে মনোবল নিয়ে। আমাদের হাসিখুশি মনে সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে, সঠিক খাবার, সঠিক যত্ন ও সঠিক আনন্দ বেছে নিতে হবে। আর ব্যস্ততা থাকলে মন খারাপ লাগার সময়ই পাওয়া যায় না। অতএব, জীবন আপনাকে ছেড়ে যাওয়ার আগে সুন্দর জীবন-যাপন করুন। বাঁচার মতো বাঁচুন। আর এ দায়িত্ব আমি, আপনি, সবার।