দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়ায় হামে ৫৩ শিশুর মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়াতে মহামারি হাম ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুল বন্ধ ছাড়াও বড়দিনের ছুটিকে সামনে রেখে দেশটিতে জারি করা হয়েছে ভ্রমণ সতর্কতা। বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে সর্বশেষ ভাইরাসজনিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, মারাত্মকভাবে সংক্রামক এই রোগটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো গোটা সামোয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে দেশটির মোট ভ্যাকসিন দেয়ার সক্ষমতা আছে ৩১ শতাংশ। ভ্যাকসিন সক্ষমতা থাকায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গা এবং ফিজিতে রোগ ছড়িয়ে পড়লেও এখনো কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার দেশটির সরকারের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সামোয়ায় হামে মৃত্যুর সংখ্যা দশগুণ বেড়ে ৫৩তে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে হামে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ জন বলে জানা গেছে। সামোয়ার মোট জনসংখ্যা ২ লাখেরও কম। প্রতিনিয়ত নতুন করে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
সামোয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস সচিব নানাই লেভিতিগা জানিয়েছেন, গতরাতেই (রোববার) হামে আক্রান্ত পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩ জন। যার ৫০ জনই শিশু। যাদের বয়স ১৫ বছরের কম। আর এই ৫০ জনের মধ্যে আবার ২৩টি নবজাতক, যাদের বয়স এক বছরের নিচে।
এছাড়া দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৮ জন নতুন করে হামে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রেস সচিব নানাই লেভিতিগা বলেন, প্রায় দুই থেকে তিন হাজার সরকারি কর্মী তাদের নির্ধারিত কাজ বন্ধ রেখে ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারাও তাতে অংশ নিচ্ছেন।
মহামারি হাম শুধু দরিদ্র আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই নয় জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আর এর বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে পিতামাতারা তাদের ধর্মীয় বা দার্শনিক বিশ্বাস কিংবা ভয়ের জায়গা থেকে তাদের সন্তানদের টিকাদানে অনিচ্ছুক হওয়ায়। সামোয়াতেও তাই ঘটেছে।
চিত্রদেশ ডটকম//এস//