আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

দেড় কোটি ডোজ টিকা নষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ টিকা। করোনা টিকা তৈরি বা ক্রয় ও মজুদে উন্নত দেশগুলো এগিয়ে থাকলেও এক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় রয়েছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। তবে বিশ্বব্যাপী এই সংকটের মধ্যেও গত ১ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে এক কোটি ৫১ লাখ ডোজ টিকা ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, অতীতে করা ধারণা চেয়েও এই সংখ্যা অনেক বেশি বড়। এছাড়া নষ্ট হওয়া ও ফেলে দেওয়া বহু সংখ্যক ডোজ টিকা সম্ভবত এখনও গণনার বাইরে রয়ে গেছে। কারণ টিকা নষ্টের এই তথ্য ফার্মেসি, অঙ্গরাজ্যসহ বিভিন্ন তথ্যদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা। এরপরও কমপক্ষে সাতটি মার্কিন অঙ্গরাজ্য এবং বড় বড় কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো এই হিসেবের বাইরে রয়ে গেছে। অর্থাৎ নষ্ট হওয়া বা ফেলে দেওয়া টিকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।

টিকা নষ্ট হওয়ার কারণগুলোও বেশ ভিন্ন ভিন্ন। এর মধ্যে রয়েছে- টিকার শিশি ভেঙে যাওয়া, টিকা পাতলা করার ক্ষেত্রে ত্রুটি, হিমায়িত স্থানে টিকা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ত্রুটি, একটি শিশিতে থাকা ডেজের তুলনায় টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কম থাকা এবং শিশি ব্যবহার শুরুর পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারা।

আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা নামক একটি প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যক এই টিকা নষ্টের খবরটি এমন এক সময় সামনে এলো যখন বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো করোনা টিকার যোগান পেতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া আফ্রিকা মহাদেশে এখন পর্যন্ত মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪ কোটি ডোজ করোনা টিকা প্রয়োগ করেছে এবং দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫২ শতাংশ মানুষ এখন পর্যন্ত টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি আমেরিকান করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন।

 

এদিকে চলতি মাসের শেষের দিক থেকে সকল আমেরিকানকে তৃতীয় ডোজের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৮ মাস পর দেশটির নাগরিকরা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button