দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৪২, আক্রান্ত ২৭৪৩
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৪৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৮৮৮ জন মারা গেলেন। ২৪ ঘণ্টায় ৫৭৮ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯০৩ জন।
দেশের ৫২ টি পরীক্ষাগারে এসব পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩১৩৬ টি।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ৪২ জনের ৩৫ জনই পুরুষ, সাতজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের দুজন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন, খুলনা বিভাগের দুজন।
হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের, বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। তাদের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৯১-১০০ বছরের মধ্যে একজন।
বুলেটিনে বলা হয়, চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৪৬৭ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ২৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৭ হাজার ৩৯৯ জন।
এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৯৭৫ জনকে। ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৫৭৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৫ হাজার ৬৯৬ জন।
তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেন নাসিমা।
এর আগে শনিবারে বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় ৮৪৬ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ২ হাজার ৬৩৫ জন। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ২৬ জন। ৫০টি পরীক্ষাগারে এসব পরীক্ষা করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২,৪৮৬টি।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১২টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৯ লাখ ছুঁই ছুঁই। মারা গেছেন তিন লাখ ৯৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৩৩ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
চিত্রদেশ//এস//