দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলছে শনিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর মাধ্যমে বাধাহীন যাত্রাপথ পাচ্ছেন রাজধানীবাসী। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উদ্বোধনের পরদিন ১৩টি পয়েন্ট দিয়ে চলাচল করতে পারবেন সর্বসাধারণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিমানবন্দর প্রান্তে উদ্বোধনের পর ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। পরে আগারগাঁওয়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। পরের দিন রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সর্বসাধারণ এতে চলাচল করতে পারবেন।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর টোল দিয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে যাবেন তিনি। যেখানে সুধী সমাবেশে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বক্তব্য দেবেন। পরদিন সকাল ৬টা থেকে এ পথ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী, মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বিমানবন্দর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত উড়ালসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। তবে, র্যাম্পসহ এই পথের দৈর্ঘ্য সাড়ে ২২ কিলোমিটার। বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত মোট র্যাম্প ১৫টি। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প শনিবার খুলে দেওয়া হবে। বনানী ও মহাখালীর দুটি র্যাম্পের কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। চলমান কাজ শেষ হলে এ দুটি র্যাম্পও খুলে দেওয়া হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হবে। এতে বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী রুটের যাত্রীরা কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবেন। উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো ঢাকাকে বাইপাস করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে।
প্রকল্পের নথি অনুসারে, দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে সরাসরি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে মিলবে। মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে উঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।