প্রধান সংবাদসারাদেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক: স্বস্তির ঈদযাত্রায় খুশি যাত্রীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঈদ এলেই এ মহাসড়কের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী সাধারণকে। কিন্তু এবারের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনো প্রকার যানজটের সৃষ্টি হয়নি। বিশেষ করে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের নানামুখী তৎপরতা ঈদে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ঘুরে কোনো প্রকার ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়নি। প্রতিটি স্টেশনেই হাইওয়ে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে একটি পেট্রোল টিম নিয়ে মহাসড়কে নিয়মিত টহল দিতে দেখা গেছে।

দেশের লাইফ লাইনখ্যাত এ মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত কোনো প্রকার যানজট যেন সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ করছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।

জানা যায়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে গণপরিবহণের তীব্র চাপে যানজট থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রয়েছে পুরোপুরি স্বস্তিতে। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৪ কিলোমিটার এলাকা যানজট মুক্ত থাকায় যাত্রীদের চলাচলে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। পাশাপাশি পণ্য ও পশুবাহী গাড়িও চলাচল করছে স্বস্তিতে।

এদিকে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের নিরাপদ যাত্রা ও মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। হাইওয়ে পুলিশের দশটি পেট্রল টিম, দুইটি কন্ট্রোল রুম এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দ্রুত মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে রাখা হয়েছে, পাঁচটি রেকার। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি জানান, আমরা মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত কোথাও কোন যানজট নেই। যাত্রীরা যেমন স্বস্তিতে বাড়ী ফিরছে তেমনি পণ্যবাহী যানবাহন গুলোও অনায়াসে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মহাসড়কের যানজট তো দূরের কথা, কোথায়ও যেন জটলাও না বাধে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী বাসযাত্রী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে বাসে করে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসেছি। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের কোথাও যানজট নেই। শুধু নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে কিছুটা জ্যাম ছিল।

ঢাকা-কুমিল্লা রুটে চলাচলকারী রয়েল পরিবহনের বাসচালক দেলোয়ার হোসেন, এশিয়া পরিবহনের বাস চালক আবুল কাসেম বলেন, মাত্র ২ ঘণ্টা থেকে সোয়া ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ঢাকা-কুমিল্লায় আসা-যাওয়া করা যাচ্ছে। বিশেষ করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কোনো যানজট নেই। যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button