ঢাকার যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি বেশি
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীতে ১৯টি এলাকায় ডেঙ্গুর জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওই সব এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব ৫০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান এক জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে।
মশার ঘনত্ব পরিমাপক সূচক ব্রুটো ইনডেক্স (বিআই) এর মাধ্যমে মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয়। এই সূচক ২০-এর বেশি হলে শর্ত সাপেক্ষে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিও বিপজ্জনক হওয়ায় ঢাকার সিটি করপোরেশন এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ব্রুটো ইনডেক্সে (বিআই) ৫০ শতাংশেরও বেশি মশার ঘনত্ব পাওয়া ঢাকা দক্ষিণের এলাকাগুলো হলো ওয়ারী, মতিঝিল, মুগদা, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী ও পল্টন। উত্তর সিটির এলাকাগুলো হলো রামপুরা, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর, বনশ্রী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, ভাটারা ও মোহাম্মদপুর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মৌসুমপূর্ব এডিস জরিপ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় ৩ মে।
জরিপে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের লালমাটিয়া ও ইকবাল রোড এলাকা এডিস মশার সবচেয়ে বড় উৎসস্থল। অন্যদিকে এডিস মশার দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসস্থল হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সায়েদাবাদ ও উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকা।
জানা গেছে, ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর নিচে এবং ১০-এর ওপরে থাকা এলাকার তালিকায় রয়েছে মনিপুর, পীরেরবাগ, শেওড়াপাড়া, নূরজাহান রোড, আসাদ এভিনিউ, শাহজাহান রোড, মগবাজার, মধুবাগ, নয়াটোলা, মীরবাগ, মালিবাগ, গুলবাগ, শান্তিবাগ, মিন্টো রোড, বেইলি রোড, কাকরাইল, সিদ্দিকবাজার, ওসমান গনি রোড, ঠাটারীবাজার, গোপী মদন-মোহন বসাক লেন, আর কে মিশন রোড, অভয় দাশ লেন, অক্ষয় দাশ লেন, মিলব্যারাক ও আলমগঞ্জ রোড। এই জরিপের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ২০টি টিম ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের ৬৯টি ওয়ার্ডের ৭০টি স্থানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
চিত্রদেশ//এফটি//