ডিমের ডজন ৭০, মুরগির কেজি ১০০ টাকা
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাস প্রকোপের মধ্যে চাল, ডাল, তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। ধারাবাহিকভাবে কমে ডিমের ডজন ৭০ টাকায় নেমে এসেছে। ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা এবং মাসের ব্যবধানে কমেছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আর ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম কমেছে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে কমেছে ২১ শতাংশ। আর ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় আড়াই শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ১৬ শতাংশ কমেছে।
ডিম ও মুরগির দাম কমলেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের বাদামি রঙয়ের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর ফার্মের সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
যাত্রাবাড়ীতে ৭০ ডজন ডিম বিক্রি করা সোহেল বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথমদিকে ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে ডিমের দাম কমছে। ১২০ টাকা থেকে কমতে কমতে এখন ডিমের ডজন ৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এই ব্যবসায়ী বলেন, দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের বিক্রিও অনেক বেড়েছে। আগে দিনে যে পরিমাণে ডিম বিক্রি করতাম এখন তার চার-পাঁচ গুণ বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগে যারা এক হালি ডিম কিনতেন, এখন তারা ডজন ডজন ডিম কিনছেন।
মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীরও দাম কমার সঙ্গে ডিম বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কথা বলেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহে ৮০ টাকা ডজন বিক্রি করা ডিম এখন ৭৫ টাকা বিক্রি করছি। যা এক মাস আগে ছিল ১২০ টাকা। ডিমের দাম যেমন কমেছে বিক্রিও তেমন বেড়েছে। আগে দিনে ৮০০-৯০০ পিস ডিম বিক্রি হতো। এখন দিনে ৪-৫ হাজার ডিম বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকা। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
ওয়ারিতে ১০০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা আজিজ বলেন, শুধু ব্রয়লার না এখন সব মুরগির দামই কিছুটা কমেছে। তবে ব্রয়লার মুরগির বিক্রি অনেক কমে গেছে। যে কারণেই হোক মানুষ এখন ব্রয়লার মুরগি কম খাচ্ছে। বিপরীতে পাকিস্তানি কক মুরগির বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
রামপুরার ব্যবসায়ী হাসান বলেন, আগে দিনে দেড়’শ থেকে দুই’শ কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতাম। এখন দিনে ৫০-৬০ কেজিও বিক্রি হচ্ছে না। অথচ আগের থেকে এখন ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক কমে গেছে। আগে যে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
চিত্রদেশ//এস//