প্রধান সংবাদ

টিকা নিবন্ধন সহজ করতে বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই। বিশেষ করে বর্তমানে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যে প্রক্রিয়ায় টিকা নিবন্ধন করা হচ্ছে তাতে গ্রামের মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় আনা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এজন্য টিকা নিবন্ধন সহজ করতে বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে সরকার।

বিষয়টি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক ডা.. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।

টিকা গ্রহণের পর গ্রামাঞ্চলেও একটি পূর্ণ মাত্রায় টিকাকরণ প্রচারণা শুরু করা হবে এবং ‘আমরা খুব শিগগিরই এই টিকাগুলো পাওয়ার জন্য আশাবাদী’।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের মানুষকেও টিকা দেব। ২০২২ সালের মধ্যে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দান অভিযান ত্বরান্বিত করতে প্রাপকদের নিবন্ধনের জন্য বিকল্প উপায় অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সরকারি অভিযানের অংশ হিসেবে আগামী বছরের মধ্যে দেশের ১৭ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, আমরা ২০২২ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ কোটি টিকা ডোজ কিনতে যাচ্ছে। অন্যদিকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী মাসগুলোতে প্রয়োজনীয় বাকি টিকা সংগ্রহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ইতোমধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া চলছে। চীনের সিনোফার্ম থেকে ৩ কোটি, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এক কোটি, সাত কোটি জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ৬৫ লক্ষ, অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ৩০ লাখ টিকা পাওয়ার চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ডিজিএইচএস-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৬১ লাখ করোনা টিকা সংগ্রহ করেছে এবং ২৫ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৪৩ লাখেরও বেশি লোক টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়ে কোর্সটি শেষ করেছে। এখনও পর্যন্ত নিবন্ধিত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন এবং আইসিটি বিভাগকে জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপটি সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের প্রাথমিকভাবে টিকা পাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। টিকাকরণ প্রচারাভিযানটি এই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয়েছিল। এর পর তিনবার বয়সসীমা সংশোধন করা হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান শুরু হয় ১ হাজার ৫৫টি মনোনীত হাসপাতাল থেকে টিকা গ্রহণের জন্য সকল স্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে।

চিত্রদশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button