নারী মঞ্চপজিটিভ বাংলাদেশপ্রধান সংবাদ

টিউলিপের টানা চতুর্থবারের জয়ে যা বললেন মা রেহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে টানা চতুর্থবার বিজয়ী হয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। তার দুর্দান্ত জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তার মা শেখ রেহানা।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সবার কাছে দোয়া চাই, টিউলিপ যেন তার কাজ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করতে পারে। শুধু নির্বাচনী এলাকায় না, যেখানে অসহায় মানুষ আছে-তাদের পাশে থাকবে। সবার সেবার জন্য তার জীবনকে নিয়োজিত করবে। সবার কাছে তার জন্য দোয়া চাই, সে যেন সবসময় সৎভাবে থাকতে পারে।

শেখ রেহানা আরও বলেন, আমি আসলে স্বপ্ন দেখিনি—সে রাজনীতিতে আসুক। এটা তার নিজের ইচ্ছায়। আমি চাচ্ছিলাম সে শিক্ষক হোক, জজ-ব্যারিস্টার হোক বা অন্যকিছু হোক। কিন্তু রাজনীতিতে সে চলে গেছে, এখানে আমার অবদান নেই। এটি সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছায়। মা হিসেবে সন্তানকে যেভাবে দেখার, আমি সেভাবেই দেখি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিনভর ভোটগ্রহণের পর গভীর রাতে আসা ফলে দেখা যায় লেবার পার্টির প্রার্থী টিউলিপ মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভের ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। অর্থাৎ, উইলিয়ামসকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন টিউলিপ।

২০১৯ সালের নির্বাচনের ভোটের চেয়ে টিউলিপের এ বছরের ভোটের সংখ্যা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। নির্বাচনের লড়াইয়ে তিনি উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে প্রার্থী ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপ লন্ডনের মিচামে জন্মগ্রহণ করেন। টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্মেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে কাজ করেন টিউলিপ, যিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন।

২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন টিউলিপ। ২০১৫ সাল থেকে টানা চতুর্থবারের মতো হ্যাম্পস্টেড থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

একদিকে পারিবারিক পরিচয়, অন্যদিকে লন্ডনের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে প্রার্থিতার কারণে টিউলিপ সব সময়ই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। ৪১ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিককে পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে।

এদিকে টিউলিপ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কমিউনিটি আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে। আমি খুব গ্রেটফুল, এইবারও উনারা আমাকে সাপোর্ট করেছেন। আমি চাই যে আমাদের আরও তিনটা বোন আছে, রূপা, রুশনারা, আপসানা—সবাই যেন জয়ী হয়, আমরা সবাই যেন লেবার গভমেন্টে সার্ভ করতে পারি।’

 

Related Articles

Back to top button