টানা ৯ দিন বন্ধ ফেরি, বিড়ম্বনায় যাত্রীরা
স্টাফ রিপোর্টার:
নাব্যতা সংকটের কারণে নবম দিনের মত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। খোলা আকাশের নিচে অমানবিকভাবে দিন পার করছে ট্রাকের চালক হেলপাররা। ড্রেজিং কার্যক্রম চললেও কাজের কোনো অগ্রগতি দেখছে না ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীরা।
এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পার হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। তবে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে এই বিড়ম্বনার অবসান ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি।
ফেরি বন্ধ হয়ে ঘাটে জনমানুষ শূন্য হওয়ায় ঘাট এলাকার খাবার হোটেলগুলো প্রায় বন্ধ। এতে খাবার সংকটে পড়তে হচ্ছে আটকেপড়া পরিবহন চালক ও হেলপারদের।
এদিকে নৌ-চ্যানেলটিতে ড্রেজিং কার্যক্রমের তেমন গতি পাচ্ছে না। স্রোতের কারণে ভেসে আসা ময়লা-আবর্জনা আটকে ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড্রেজিংয়ে কর্মরত কর্মকর্তারা।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক ও পরিবহন আটকা পড়েছে। পরিবহনের যাত্রীরা ঘাটে এসে পড়েছে বিপাকে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট পদ্মায় চলাচল করছে। এ রুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে চাপ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, পদ্মার চ্যানেলে নাব্যতা সংকটে ২৯ আগস্ট থেকে রাতে ফেরি বন্ধ এবং ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই রুটের পুরো ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এই বহরে রয়েছে ১৭টি ফেরি। তবে দুইটি রোরোসহ ৪ ফেরি অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। এখন ১৩ ফেরি ঘাটে অলস বসে আছে।
বিআইডব্লিউটিসর জিএম মো. আতিকুজ্জামান জানান, চলাচল শুরু হলে ফিরিয়ে আনা হবে ফেরিগুলো।
চিত্রদেশ//এল//