জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাতে লাল সবুজের পতাকা আর রঙবেরঙের ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে মানুষের ঢল নামে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে। যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল, বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশের, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকীতে সেই বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি।
ঘনকুয়াশা আর তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকেই লাখো মানুষ হাজির হন স্মৃতিসৌধ এলাকায়। শ্রদ্ধার ফুলে তারা স্মরণ করছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়া বীর শহীদদের।
সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তির দিনটির কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি পরে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণ করেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
তারা চলে গেলে স্মৃতিসৌধ এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সারিবদ্ধভাবে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মুহুর্তেই স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনতার ভিড়। চারদিক থেকে মানুষের ঢল গিয়ে মিশতে থাকে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিবেদনে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে ফুল দিচ্ছেন লাখো আবালবৃদ্ধবণিতা। হাজারো মানুষের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে স্মৃতিসৌধ এলাকা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শীতকে উপেক্ষা করে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেক শিশু ও বুড়োও আছেন। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও। তাদের অনেকের কপালে লাল-সবুজ রঙে আঁকা জাতীয় পতাকা। হাতেও উড়ছে জাতীয় পতাকা। পোশাকে লাল-সবুজের সরব উপস্থিতি। আবার অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যানার। কণ্ঠে দেশের গান। দলে দলে স্মৃতিসৌধে ঢুকছে মানুষ। তাদের অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছিল লাল-সবুজের পতাকা আর রঙবেরঙের ফুল। পোশাকেও লাল-সবুজের বাহারি উপস্থিতি। অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যানার। অনেকের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে দেশের গান।
//এস//