খােজঁ-খবরপ্রধান সংবাদ

জমে উঠেছে পশুর হাট, চাহিদা বেশি মাঝারি গরুর

স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। ক্রেতারা সাধ্যমতে পছন্দের পশুটি কিনছেন। তবে বেশির ভাগ হাটেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত দেখা গেছে।

সরেজমিনে রাজধানীর আফতাবনগর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের মাঝে আর একদিন বাকি থাকায় এখন যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা অধিকাংশই পশু কিনে ঘরে ফিরছেন। এ কারণে সোমবার সকাল থেকে বিক্রি বেড়েছে।

মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি উল্লেখ করে বিক্রেতারা জানান, বাজারে নানা আকারের গরু থাকলেও মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

নাটোর থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে গাবতলী হটে এসেছেন জুম্মন। তিনি বলেন, এলাকা থেকে ৫টি গরু নিয়ে এসেছিলাম। তিনটি মাঝারি ও দুটি বড়। মাঝারি গরু তিনটিই বিক্রি হয়ে গেছে। বড় গরু দুটিরও দরদাম হয়েছে কিন্তু এখনো বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা দামদর করে চলে যাচ্ছে।

অন্য এক বিক্রেতা হোসেন। এসেছেন কুষ্টিয়া থেকে। তিনি বলেন, চারটি বড় গরু নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত ২টি বেঁচতে পারছি। বড় গরুর চাহিদা কম। হাতেগোনা কিছু মানুষ বড় গরু কিনছেন। মানুষ এসে দামাদামি করছেন ঠিকই কিন্তু নিচ্ছেন মাঝারি গরু।

আফতাবনগর হাটের ইজারাদার মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বছর গরুর দাম বেশি হওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। এ জন্য এখন পযন্ত বিক্রির পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম।

তিনি বলেন, আমরা ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলছি, যেন তারা করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় অল্প মুনাফায় গরু বিক্রি করে দেন। তাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় লাভবান হবেন।

শিমুল জানান, আফতাবনগর হাটে এ বছর পশু আমদানি হয়েছিল প্রায় ১৭ হাজার। এ পর্যন্ত (সোমবার দুপুর) বিক্রি হয়েছে আনুমানিক ছয় থেকে সাত হাজার। এখনও কিছু পশু আসছে বিভিন্ন এলাকা থেকে।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button