ছুটির দিনে বইমেলায় পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়
অমর একুশে বইমেলার ১৮তম দিন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। হিসাব অনুযায়ী আর দশদিন পর পর্দা নামবে এবারের বইমেলার। তাই শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় বইমেলায় পাঠক-দর্শনার্থীর ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। যতই দিন যাচ্ছে মেলায় ততই ভিড় বাড়ছে। শুক্রবারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ ক্রেতার উপস্থিতিও বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিন হওয়ায় দুপুর গড়ানোর আগেই মেলা প্রাঙ্গণে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গত দুই বছর করোনার কারণে কিছুটা পিছিয়ে শুরু হয়েছিল অমর একুশে বইমেলা। তবে, এবার করোনার প্রাদুর্ভাব কম থাকায় নির্ধারিত সময় শুরু হয়েছে। মেলার ১৮ দিন অতিবাহিত হচ্ছে আজ। দিন যত যাচ্ছে মেলায় ভিড় তত বাড়ছে। তবে ছুটির দিনগুলো মেলায় পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় বেশি থাকে। আজও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। দুপুর গড়ানোর আগেই মেলা প্রাঙ্গণে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও ক্রেতা-দর্শনার্থী ভিড় করছেন। ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন।
মেলায় শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে হাতেখড়ি মঞ্চ ও শিশু চত্বর। সেখানে দিনভর নানা আয়োজনে সময় কাটাচ্ছে মেলায় আগত শিশুরা। আর মেলার বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে পছন্দের বই কিনছেন বইপ্রেমীরা। রোমান্টিক উপন্যাস আর থ্রিলার গল্পের বইয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ তরুণ-তরুণীদের।
মেলায় বই কিনতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা হাসান বলেন, মেলার শেষ সপ্তাহে বেশি ভিড় হবে। তাই আজ কিছু বই কিনতে এসেছি। তিনটি উপন্যাস কিনেছি।
মাহফুজ আহমেদ বলেন, মেলায় বেশ কয়েকদিন এসেছি। কিন্তু বই কেনা হয়নি। আজ কয়েকটি বই কিনলাম। সোহাগ মিয়া বলেন, ঢাকার বাইরে থাকায় মেলায় তেমন একটা আসা হয় না। আজ ছুটির দিন তাই কিছু বই কিনতে এসেছি। ভালোই লাগছে।
বিক্রয়কর্মীদের ভাষ্য, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও সে তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি। তাদের প্রত্যাশা দিন যত গড়াবে বাড়তে থাকবে ক্রেতার সংখ্যা। বাড়বে বই বিক্রিও।