
চক্ষু ইনস্টিটিউট জুলাই যোদ্ধাদের দখলে, সেবা বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিয়মিত দিনে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষের পদচারণায় সরগরম থাকা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এখন পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে। মূল ফটকদ্বয় বন্ধ। চারপাশে থমথমে পরিবেশ। হাসপাতালের ভেতরে অলস সময় কাটাচ্ছে কিছু পুলিশ সদস্য। আর রোগী ও তাদের স্বজনরা বারবার ফিরে যাচ্ছেন নিরাশ হয়ে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে সরেজমিনে হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা অনেকেই বাইরে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন। স্বপন নামের একজন জানান, তিনি তার ছেলে আলামিনকে চোখ দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু ফটক বন্ধ দেখে ফিরে গেছেন।
একই অভিজ্ঞতা রেখার (৬০)। এই হাসপাতালেই তার চোখের অপারেশন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আজ শনিবারও এসেও ফিরে যেতে হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম বন্ধ। হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শতাধিক যোদ্ধা। কেবল তাদের রান্নার কাজে নিয়োজিত দু-একজন লোক আছেন। চিকিৎসক, নার্স, বা অন্য কোনো স্টাফ এখন হাসপাতালে নেই।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। সেদিন নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছিলেন চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অভিযোগ রয়েছে, তখনই হামলা চালান হাসপাতালে অবস্থানরত জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধারা। এতে ১৫ জন স্টাফ আহত হন, যাদের মধ্যে চিকিৎসকও রয়েছেন। ঘটনার পর আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।
এরপর থেকেই হাসপাতালটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আহত জুলাই যোদ্ধাদের হাতে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো রোগী।