অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

গরু-মুরগির মাংসের দাম নাগালের বাইরে

স্টাফ রিপোর্টার:
তেল, চাল-ডালসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরু-খাসি-মুরগির মাংসের দাম। গরুর মাংস আগে কেজিপ্রতি ৫৮০ টাকা বিক্রি হলেও বৃর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা করে। খাসির মাংসও সাধারণ মানুষের নাগালেই বাইরে, কেজিপ্রতি ৯০০-১০০০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ৩২০, বড় লাল মুরগি ২৫০, ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০-২৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজধানীর শ্যামপুর ও সূত্রাপুর মাংসের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতাদের দাবি, আয়ের তুলনায় মাংস আর সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, কম দামে কিনতে না পারায় বিক্রিও করা যায় না।

শ্যামপুর বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী হোসেন মো. আলাউদ্দিন বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু কিনতে পারছি না। ফলে ক্রেতাদের চাহিদাও কমে গেছে। এক মাস ধরে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকা করে বিক্রি করছি।

শ্যামপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. লালন বলেন, মুরগির মাংসের দাম অনেক বেশি। ক্রেতাদের চাহিদা মোটামুটি পর্যায়ে আছে। তবুও ব্যবসা করতে হবে, চলতে হবে।

শ্যামপুর বাজারের আরেক মুরগির মাংসের ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল শেখ বলেন, ফার্ম থেকে মুরগি বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। ফলে মুরগির সংকট দেখা দিয়েছে। দাম বেশি হওয়ায় বিক্রিও কম।

সূত্রাপুর বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা মো. আজমত হোসেন বলেন, মাংসের দাম বেশি। আগে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাংস কিনেছি। এখন তো দাম শুনে মাংস খেতেও মন চায় না। বাসায় মেহমান আসবে, তাই মাংস কিনতে এসেছি।

সূত্রাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. রিপু বলেন, আমরা গন্ডা হিসেবে খাসির মাংস বিক্রি করি। আস্ত খাসি বিভিন্ন কোম্পানি কিনে নিয়ে যায়। দাম বেশি হওয়ার কারণে খাসির মাংসের খুচরা বিক্রি কম হয়। বর্তমানে খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৯০০-১০০০ টাকা করে বিক্রি করছি।

চিত্রদেশ//এফটি//

 

Related Articles

Back to top button