ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার পাশাপাশি থাকে: প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার:
ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার পাশাপাশি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে।
উড়োজাহাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যেটা হয়েছে, ক্ষমতা ছাড়াও সবার আগে কিন্তু আমাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাজনীতি করতে গেলে জেলে যেতে হতে পারে সেটা জানি। সেইজন্য আমরা কারাগারগুলো উন্নত করে যাচ্ছি। নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে কেরানীগঞ্জে। সেটা আমরা উদ্বোধন করেছি।
সূত্রমতে, উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এই কারাগারটিতে শুধু নারী বন্দীদের রাখা হবে। বর্তমানে সব নারী বন্দীদের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। গাজীপুরের কাশিমপুরে দেশের প্রথম মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার নির্মাণের পর দেশে এটি দ্বিতীয় মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার। এতে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত উভয় প্রকারের বন্দী রাখা হবে।
এর নির্মাণ কাজ বেশ কয়েক মাস আগে শেষ হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে এতদিন এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এদিন কেরানীগঞ্জে একটি এলপিজি স্টেশনও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এলপিজি স্টেশন থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। ফলে এখন থেকে আর কাঠ পুড়িয়ে রান্না করতে হবে না। এলপিজি গ্যাসে রান্না হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের নতুন প্লেন ধ্রুবতারার উদ্বোধন করেন।
একই অনুষ্ঠান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ২০টি ফায়ার স্টেশন, জেলা সদরে নবনির্মিত ছয়টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উদ্বোধন করেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর ২১ বছর দেশ চলেছে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের দ্বারা। ক্ষমতা দখলে রাখা তাদের লক্ষ্য ছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রাখে।’
বিমানের জন্য কেনা উড়োজাহাজ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বিমানের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ আরও সহজ করার পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাথে যোগাযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। এতে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য আরও উন্নত হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি কক্সবাজার, সৈয়দপুর বিমান বন্দরের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রয়েছে।
করোনার স্থবির পরিস্থিতিতে নতুন বিমানের উদ্বোধন সাহসী পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান। মহামারি পরিস্থিতি শিগগির দূর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
চিত্রদেশ//এফ//এল//