প্রধান সংবাদ

কোকাকোলা বিক্রি করায় কেএফসিতে ভাঙচুর, বাটায় হামলা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে সিলেট নগরীতে বিক্ষোভ মিছিলের সময় ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেছেন, কেএফসি এখানে ইসরায়েলি কোমল পানীয় বিক্রি করছে, যা তারা মেনে নিতে অস্বীকার করেন। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জুতার ব্র্যান্ড বাটা শোরুমেও হামলা চালানো হয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

সোমবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেটের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসি এবং দরগা গেইট এলাকার বাটার শো-রুমে এ হামলার ঘটনা ঘটে, যা সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেএফসির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু বিক্ষোভকারী সেখানে হামলা শুরু করেন। তারা কেএফসির ভিতরের কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে এবং লাঠি দিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে। ভাঙচুরের পর কেএফসি বন্ধ হয়ে যায়। একই মিছিলের অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা পাশের বাটার শো-রুমে গিয়ে গ্লাস ভাঙচুর করেন। এ সময় দোকানের কর্মীরা ভয়ে বাইরে চলে যান।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, “নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকারী ইসরায়েলের কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমাদের দেশে স্থান দেওয়া যাবে না।” তারা আরও বলেন, “এটি শুধু একটি অঞ্চলের সমস্যা নয়, এটি পুরো মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে বিভিন্ন সংগঠন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাসিন্দারা স্লোগানে স্লোগানে মিছিল নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেন। চৌহাট্টা এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল চলতে থাকে। সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা ‘তুমি কে, আমি কে, ফিলিস্তিনি ফিলিস্তিনি’, ‘ইসরায়েলের বন্ধুরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বয়কট ইসরায়েল’ এবং ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন। একই সময়, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেন।

বাদ জোহর, বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামীয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে বন্দরবাজার এলাকায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া, ছাত্র-জনতা, তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল ও সামাজিক সংগঠনও বিক্ষোভে অংশ নেয়।

Related Articles

Back to top button