আমরা সবাই প্রাত্যহিক জীবনে চলাফেরা করি,হাটি, বসি, শুই, ঘুমাই, পড়াশোনা করি, খাইদাই ইত্যাদি নানা কাজ করি । এসব কাজ করতে যেয়ে আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গের নানা ভাব-ভঙ্গি প্রকাশ করতে হয়। সবারই একটা নিজস্ব স্টাইল তৈরি হয়। যা আমাদের যারা যার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব। আমাদের অনেক কাজের সাথেই অন্য ব্যক্তিরাও জড়িত। যেমন- আমরা একসাথে খাই, একসাথে বেড়াতে যাই, আড্ডা দেই, একসাথে ঘুমাই ইত্যাদি। এই একসাথে থাকতে যেয়ে অথবা কাজ করতে যেয়ে আমাদের একে অপরের অঙ্গভঙ্গি,মন মেজাজ, মুদ্রাদোষ, আধিপত্য এসবের উপর নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় একে অপরের অনেক ব্যাপারেই ছাড় দিতে হয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য। তাই বলি প্রত্যেক ব্যক্তির একটা সুন্দর ভাব, অঙ্গভঙ্গি, চলাফেরা থাকা উচিত যা দৃষ্টিকটু নয়। যা সাবলীল, সুন্দর। যা অন্যের বিরক্তির উদ্রক করে না, অন্যকে কষ্টে ফেলে না। যা অন্যের একটা ড্যাম কেয়ার ভাব আছে যে আমি আমার মত চলবো তাতে কার কি। কিন্তু এই ভাবনাটা কি ঠিক! হ্যাঁ অবশ্যই আমি আমার মত করে চলবো, কাজ করবো কিন্তু অন্যকে কষ্ট দিয়ে নয়, তোয়াক্কা না করে নয়। সমাজ, পরিবারে চলতে হলে অবশ্যই সুন্দর কিছু মেনে চলতে হবে। নিয়মের গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমরা অনেক ক্ষেত্রেই একে অপরের উপর নির্ভরশীল। একজনের অলসতা, স্বেচ্ছাচারিতা পুরা পরিবেশকে কলুষিত করে ফেলতে পারে। আমাদের অবশ্যই আমাদের মুরুব্বীদের মানতে হবে, সম্মান দিতে হবে, ছোটদের ভালবাসতে হবে, শিখতে হবে শান্ত নম্র সুরে কথা বলা, কাপড় চোপড়ে শালীন, মার্জিত হওয়া ও চোহারাকে বিকৃত না করা, নিয়মের মধ্যে চলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এই বিশ্বের সৃষ্টাকর্তা মহা পরাক্রমশালীর কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করা, সাহায্য চাওয়া।