প্রধান সংবাদমুক্তমত

কিছু মুক্ত ভাবনা ‘গুণের চর্চা’

কানিজ কাদীর

একজন মানুষের মাঝে অনেক গুণ থাকে। কোন কোন গুণ অনেক বেশি থাকে। বেশির ভাগ ভাল গুণগুলো সুযোগ ও চর্চার অভাবে কখনোই প্রকাশ হয় না। সারাজীবন তা নিয়ে আফসোস ও আক্ষেপ করতে হয়। আমরা আমাদের ভিতরের সুপ্ত গুণগুলো চর্চা না করে প্রায়ই গল্পগুজব, পরচর্চা ও নানাভাবে সুন্দর সময়গুলো নষ্ট করে ফেলি। কেউ কেউ নিজের মধ্যে এমনভাবে গুটিয়ে থাকি যেন আমার দ্বারা কিছুই হবে না। আসলে এভাবে গুটিয়ে না থেকে আমরা যদি একটু স্বত:স্ফূর্ত হই , নি:সংকোচ হই, ইচ্ছাশক্তি বাড়াই আর একটু বেশি সচেষ্ট হই তা হলে আমাদের ভিতরের গুণগুলোর কিছু প্রকাশ হবেই । এতে আমাদের ভিতরে অজানা একটা শক্তি আমাদের আরও বেশি উৎসাহ যোগাবে নিজেকে আরও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার। কিন্তু আমরা প্রায়শ: কি করি । ঘরের দরজা বন্ধ করে শত শত আজে বাজে চিন্তায় নিজেকে আচ্ছন্ন করে ফেলি আর ভাবি, আমি একটা অপদার্থ, আমরা দ্বারা কিছুই হলো না। কত সময় যে আমরা বিছানায় শুয়ে শুয়ে অলসতায় নষ্ট করি। এই মূল্যবান জীবনে এই নষ্ট সময় নিয়ে পরে আফসোস হয় যখন আর শরীর বা মন কোনটাই সায় দেয় না। গুণের চর্চার সবচেয়ে সুন্দর সময় জীবনের সুস্থ সময় তা যে কোন বয়সেই হতে পারে। জীবনে সুস্থতা খুব প্রয়োজন । সুস্থ শরীর, সুস্থ মনের বাস। সুস্থ শরীর যেন একটা জীবনী শক্তি। শরীর সুস্থ থাকলে অনেক কাজই সহজ হয়। গুণের বিকাশ করতে হলে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। নিয়ম মানতে হবে । ঠিকমত ঘুম, সঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া, শৃ:খলা মানতে হবে। সময়ের মূল্য বুঝতে হবে। কিন্তু আমরা অনেকেই সারাদিন শুধু আমাদের নিজেদের খুতঁগুলো নিয়েই ভাবি। কিন্তু আমরা সহজেই আমাদের নিজেদের গুণগুলোর পরিস্ফূটন ঘটিয়ে আমাদের সব খুতঁই ঢেকে দিতে পারি। অথচ আমরা সারাদিন শুধু হাহুতাশ করে যেন মরি ‘আমি কেন খাটো হলাম, কালো হলাম, মোটা হলাম, কেন আমরা চেহারা আরও সুন্দর হলো না ইত্যাদি নানা কিছু। কেউ কেউ এই বিষয়গুলোকে এত বেশি গুরুত্ব দেয় যে সে সমাজে ভাল করে মিশতেই পারে না, সে সংকোচে যেন সারাক্ষণ কুকঁড়ে থাকে। আর তাই তার অপূর্ব সুন্দর গুণগুলো যেন অকালেই কবর দিয়ে দেয়। তার স্বপ্নেরও যেন মৃত্যু ঘটে। অথচ সে কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে এক অনন্য সুন্দর শিখরে উঠতে পারে। শুধু তার ভিতরের গুণের বিকাশ ঘটিয়ে । আর এর জন্য আমাদের সকলেরই থাকতে হবে এক বিশেষ চেতনাবোধ, সচেতনতা বোধ ও অনুপ্রেরণা।

Related Articles

Back to top button