কানিজ কাদীরের কবিতা ‘ইভটিজিং’
ওহে রেশমা,সিমি, তৃষা,হিমি, পিংক, বিলকিস
কেন তোমরা জীবন দিলে
ঐ সব দুর্মুখ কেড়ে নিল,
তোমাদের প্রাণ সবাই মিলে
কেন! কেন! ওদের জন্য
তোমরা হারালে প্রাণ।
বেঁচে থেকে তোমরা দিলে না কেন-
শিক্ষা ওদের আপ্রাণ।
ওরা তো অসভ্য বর্বর
পশুর চেয়েও অধম।
ওদের দৃষ্টিতে পিচাশের তৃষ্ণা
তাইতো ওরাই নিকৃষ্ট নরাধম।
এতটা বোকা কেন হলে তোমরা
বিবেকহীন জানোয়ারদের জন্য
ওদের বিকৃত আনন্দে কেন
তোমরা হলে অপমানে বিপন্ন।
ওরাতো বিভোর নোংরা আনন্দে
যুগে যুগে যেন ওটাই ওদের কাজ।
রক্তে ওদের উগ্র লাভা
লেবাসের নীচে হায়েনার সাজ।
সময় এসেছে এবার
ওদের তোমরা ধর।
উলঙ্গ করে রাস্তায় নামাও
ওদের দিয়েই ওদের কান ছিঁড়।
আর এভাবে দিওনা তোমরা
মহামূল্যবান প্রিয় প্রাণ।
তুচ্ছ ওদের বাঁকা কথায়
হইও না আর ম্রিয়মান।
খেলার ছলে ওরা ঢিল ছোঁড়ে
পায় মহা আনন্দ।
তাতে কেউ পেলই বা ব্যথা
ওদের মজা হয় না মন্দ।
ঐ সব পশু দেখে কেন ভয়!
হয় তোমাদের স্বপ্নভঙ্গ,
ওদেরকে উচিৎ শিক্ষা দাও
কুকুর দিয়ে চাটাও ওদের অঙ্গ।
অকালে দিও না আর জীবন বলি
দেশকে দেবার আছে অনেক কিছু।
পবিত্র আত্মায় করো দৃঢ় পণ
ওরা পারবে না নিতে আর পিছু।
আনন্দে উছলাও, নিজেকে ভালোবাসো
আত্মবিশ্বাসী তুমি হও সুকন্যা।
সৃষ্টির আনন্দে হও বিভোর
আত্মপ্রত্যয়ী তুমি হও অনন্যা।