প্রধান সংবাদ

কানায় কানায় পূর্ণ শোলাকিয়া ঈদগাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নামাজর শুরুর এক ঘণ্টা আগেই কানায় কানায় পূর্ণ দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এ চিত্র দেখা যায়। এখানে ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আজ সকাল ১০টায়।

নামাজের ইমামতি করবেন শোলাকিয়া মাঠের সাবেক ইমাম ও পুনরায় সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সাজানো হয়েছে সব আয়োজন। নারীদের জন্য সূর্যবালা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় সাত একর আয়তনের ঈদগাহের মূল মাঠে ২০৬টি কাতার রয়েছে। মূল মাঠের পাশে রাস্তা ও বাসা বাড়ির ছাদ, পুকুর পাড়, ব্রিজে আরও মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।

শাহাবুদ্দিন নামে এক মুসল্লি বলেন, গত ১৫ বছর এই মাঠে নামাজ পড়তে আসিনি। এই বছর সাইফুল্লাহ হুজুর নামাজ পড়াবে সেই জন্য আসছি। এবার আগের চেয়ে অনেক মুসল্লি বেশি হয়েছে। নামাজ শেষে দেশের সকলের জন্য শান্তি কামনায় দোয়া করবো।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, মাঠ ও মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ড্রোন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। নামাজের সময় এগার’শ পুলিশ সদস্য, ৫ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব সদস্য ছাড়াও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও আনসার সদস্যরা মাঠ ও মাঠের বাইরে মোতায়েন থাকবেন। সাদা পোশাকে নজরদারি করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। রয়েছে ফায়ার ব্রিগেড, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স, মেডিক্যাল টিম ও পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। ঢাকা থেকে এসেছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে।

 

Related Articles

Back to top button