করোনা ভাইরাসে মৃত বেড়ে ২৩৬০, ডব্লিউএইচও’র উদ্বেগ
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রোজ। শুক্রবার চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১০৯ জন। ফলে সেখানে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৫ জন। এর আগে বৃহস্পতিবারও দেশটিতে করোনা ভাইরাসে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ১৫ জন।
এদিকে চীনে নতুনভাবে তিনশ ৯৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটির ৩১টি প্রদেশে মোট ৭৬ হাজার ২৮৮ জন আক্রান্ত হলেন।
এর মধ্যে ৫৩ হাজার ২৮৪ জন অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন, ১১ হাজার চারশ ৭৭ জনের অবস্থা গুরুতর এবং এরই মধ্যে মারা গেছেন ২৩৪৫ জন। আশার ব্যাপার এই যে, এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ছয়শ ৫৯ জন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) জানিয়েছে, শুক্রবার মৃতদের মধ্যে ১০৬ জনই করোনা ভাইরাসের উৎস হুবেই প্রদেশের। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ২৫০ জন।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা বেশিরভাগই চীনে হলেও গত এক সপ্তাহ ধরে অন্যান্য দেশেও এর সংখ্যা বাড়ছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এ পর্যন্ত ইরানে চারজন, জাপানে তিনজন, হংকং-দক্ষিণ কোরিয়ায় দু’জন করে এবং তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ফ্রান্স ও ইতালিতে একজন করে মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ নামক এই ভাইরাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ২৬টির বেশি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের বাইরেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা আন্দাজ করে জানুয়ারির শেষের দিকে এসে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল শুক্রবারও করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
তাদের উদ্বেগ- প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া কমিয়ে নিয়ে আসতে পারলে এটি মোকাবিলা করা সহজ হবে। সম্প্রতি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার হার কিছুটা কমে এসে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। আক্রান্তের হার কমে না আসলে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরির শঙ্কা রয়েছে।
চিত্রদেশ//এইচ//