‘করোনা অনেক প্রাণ কাড়লেও বাংলাদেশকে স্থবির করতে পারেনি’
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাস অনেক প্রাণ কেড়ে নিলেও বাংলাদেশকে ‘স্থবির করতে পারেনি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারিতে সারাবিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল, তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কিন্তু স্থবির হয়নি। বাংলাদেশ কিন্তু অগ্রযাত্রায় সমানতালে চলেছিল।
তিনি বলেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ‘একটা বিশেষ অবস্থানে’ চলে এসেছে, যার ফল দেশবাসী ‘দেখতে পাচ্ছে’।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় আমরা এ রোগের কিছুই জানতাম না । সবার ভেতরে কিন্তু একটা আতঙ্ক ছিল, আজকে কিন্তু সেই জায়গাটা নাই। আমাদের ডাক্তারেরা অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীসহ ফ্রন্ট লাইনে যারা ছিলেন, সবাই সহযোগিতা করেছিলেন বলে কোভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্ষম হয়েছি।
পরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতেও টিকাদানের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ তিনটি প্রতিষ্ঠানে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বাধনের পর পরই এসব প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা টিকা নিতে শুরু করেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে টিকা নেননি।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম তপু একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মন্ত্রী নিয়মিত একটি ওষুধ নেন। এই ওষুধ চলমান থাকাবস্থায় টিকা না নেওয়ার পরামর্শ রয়েছে ডাক্তারের। ওষুধ বন্ধ করার কয়েক দিন পর উনি টিকা নেবেন।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোধে সারা দেশে আজ একযোগে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ১০০৫ কেন্দ্রে এ প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪ টিম এবং ঢাকার বাইরে সারা দেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে ২১৯৬টি টিম টিকা প্রয়োগে যুক্ত রয়েছে।
আজ সকাল ১০টার পর মহাখালী স্বাস্থ্য ভবন থেকে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর পর পরই বিভিন্ন জেলায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি একজন নার্স টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ওই দিন আরও ২৫ জন টিকা নেন। পর দিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে আরও ৫৪১ জনকে দেওয়া হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য এদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। খুব একটা সমস্যা না হওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চিত্রদেশ//এইচ//