ওমিক্রন: জনসমাগম সীমিত করাসহ চার সুপারিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে ভ্রমণ সতর্কতা জারির পাশাপাশি সব ধরনের সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এরই মধ্যে যেসব দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, যেসব দেশ থেকে আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ও সভা-সমাবেশ সীমিত করাসহ চারটি সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
রোববার ২৮ নভেম্বর কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৮তম সভায় বিশদ আলােচনার পর এসব সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চার সুপারিশ
১. নতুন পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও এসব দেশ এবং যেসব দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
২. কোনাে ব্যক্তির এসব দেশে ভ্রমণের সাম্প্রতিক (বিগত ১৪ দিনে) ইতিহাস থাকলে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ এর টেস্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন করতে হবে।
৩. প্রতিটি পোর্ট অব এন্ট্রিতে স্ক্রিনিং পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করা হল।
৪. কোভিড-১৯ এর পরীক্ষায় জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে পরীক্ষা করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এ সমস্ত দেশ এবং যে সমস্ত দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সে সমস্ত দেশ হতে যাত্রী আগমন বন্ধ করার সুপারিশ করা হচ্ছে।”
কেউ গত ১৪ দিনের মধ্যে এসব দেশে ভ্রমণ করে থাকলে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা এবং কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়লে আইসোলেশনে রাখার কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের প্রতিটি প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং-পরীক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোরভাবে পালন করা (স্কুল কলেজসহ), চিকিৎসা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও বিভিন্ন (রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়) সমাবেশে জনসমাগম সীমিত করার সুপারিশ করা হল।”
পাশাপাশি কোভিড-১৯ পরীক্ষায় জনগণকে উৎসাহিত করার জন্য বিনামূল্যে পরীক্ষা করার সুযোগ আবার ফিরিয়ে আনার সুপারিশ করেছে পরামর্শক কমিটি।
দেশের সব পোর্ট অফ এন্ট্রিতে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর:
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিস্তর রোধে সারা দেশের বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দরসহ সব পোর্ট অফ এন্ট্রিতে সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে সবাইকে নিয়মিত মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়াসহ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার ২৮ নভেম্বর দুপুরে দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
বন্দর পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে বিমান, সমুদ্র ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে সর্বমোট নয় হাজার ৫৯০ জন যাত্রী দেশে প্রবেশ করেছে। আর তার সিংহভাগই এসেছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে। তাদের প্রত্যেককেই যথাযথ স্ক্রিনিং করার পর প্রয়োজন অনুযায়ী আইসোলেশন বা যাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর প্রয়োজন তাদের আমরা পাঠিয়েছি। আমরা মনে করি, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি আমাদের মেনে চলতেই হবে।
চিত্রদেশ//এফটি//