একাদশে ভর্তিঃ প্রথম ধাপে আবেদন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার
স্টাফ রিপোর্টার:
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম ধাপে আবেদন করেছে ১৩ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী। আবেদনের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রথম দফা আবেদনের সময় গতকাল শেষ হয়েছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট রাত ৮টায়। এরপর শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট রাত ৮টার মধ্যে। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে প্রথম পর্যায়ের আবেদন বাতিল হবে।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের http://www.xiclassadmission.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। বিকাশ, নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক এবং রকেটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা যাবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ করা ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুসারে প্রথম মাইগ্রেশনের ফল ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সিলেকশন ও আবেদন বাতিল হবে।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে।
কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বিকেএসপি কোটা বহাল থাকছে। বিশেষ কোটা হিসেবে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপি এবং দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসী কোটা বহাল থাকছে। প্রবাসীদের সন্তান ভর্তির বিষয়ে সরাসরি বোর্ডে আবেদন করতে হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানের বাংলা মাধ্যমে ভর্তি ফি ৯ হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। কোনো প্রতিষ্ঠানেই উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে ২ হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
চিত্রদেশ//এল//