একমাসের মধ্যে ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ
স্টাফ রিপাের্টার:
করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় গত ৪ মে দুই হাজার চিকিৎসক এবং ৭ মে পাঁচ হাজার ৫৪ নার্স নিয়োগ দেয় সরকার। এবার দেশে আরো দুই হাজার চিকিৎসক এবং তিন হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও রেডিওগ্রাফার নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। যার মধ্য দিয়ে দেশে রেকর্ড সংখ্যক ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ হবে একমাসের মধ্যে ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান জানিয়েছেন, এখন তিন হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও রেডিওগ্রাফার নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ এর আগে একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ হয়নি।
হাবিবুর রহমান খান জানান, এর আগে ২০১৪ সালে ৬৩০০ চিকিৎসক নিয়োগ দেয় সরকার। গত ডিসেম্বরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল পৌনে পাঁচ হাজারের মতো চিকিৎসক। বিসিএসের মাধ্যমে প্রতিবছর ২০০ থেকে ৪০০ এর মতো ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে ৬৩০০ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়।
একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগকে ‘বিরল’ ঘটনা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
নতুন নিয়োগ পেতে যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান খান বলেন, এদের মধ্যে ১২০০ টেকনোলজিস্ট, ১৬৫০ টেকনিশিয়ান ও ১৫০ জন রেডিওগ্রাফার।
তিনি বলেন, ‘তিন হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও রেডিওগ্রাফার নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা ঈদের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছি। এখন দ্রুততার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। সব মিলিয়ে এক মাসের মধ্যেই ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ ১০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের রেকর্ড হবে, যা আগে কখনোই হয়নি’।
আরো দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কাজও এগিয়ে চলছে বলে জানান তিনি।
যতদিন মহামারী থাকবে ততদিন এরা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকার পর মহামারী কেটে গেলে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ল্যাবে তাদের পদায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে জানতে চাইলে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের বিষয়টা ইতোমধ্যেই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানিয়ে দিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য, জনপ্রশাসন, অর্থসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় জড়িত। এদের মধ্যে সমন্বয় করে কীভাবে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।
চিত্রদেশ//এস//