একদিনে রেকর্ড ২০২৯ জন শনাক্ত, ১৫ জনের মৃত্যু
স্টাফ রিপাের্টার:
বিশ্বে যখন মৃত্যু মিছিল তখন করোনায় বাংলাদেশেও দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ৫৫৯ জন মারা গেলেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো দুই হাজার ২৯ জন। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৩২১ জনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণেরও পরামর্শ দেন। একই সাথে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ দেন নাসিমা।
বুলেটিনে নতুন একটিসহ মোট ৪৯টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ২৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে নয় হাজার ৩১০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরো দুই হাজার ২৯ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৩২১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরো ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৫০০ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার ৪২৫ জনে।
এর আগে বুধবারের (২৭ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৪৪ জন। এই সময়ে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে ১ হাজার ৫৪১ জনের শরীরে। ফলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জনে।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে ঘরে থাকার আহ্বানসহ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে যারা করোনার এই মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বুলেটিনে জানানো হয়, বুধবার চব্বিশ ঘণ্টায় ৩৪৬ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৯২৫ জন। চব্বিশ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.২২ শতাংশ। দেশে শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৭০ শতাংশ; মৃত্যু হার ১.৪২ শতাংশ।
সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করা ২২ জনে পুরুষ ২০ জন, নারী দু’জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন (ঢাকা শহরের পাঁচজন), চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন এবং সিলেট বিভাগের দুজন। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
বুলেটিনে বলা হয়, বয়স বিবেচনায় ০-১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে দুজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে সাতজন এবং ৭১-৮০ বছরের মধ্যে একজন।
বুলেটিনে আরো বলা হয়, দেশের ৪৮টি ল্যাবে চব্বিশ ঘণ্টায় মোট ৭ হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ১৫টি নমুনা। চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ২৮১ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৯৯৪ জন।
গত একদিনে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ২ হাজার ৭৮৯ জনকে। আর ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন।
চিত্রদেশ//এস//