প্রধান সংবাদ

ঈদ জামাতে অংশ নিতে শোলাকিয়া ঈদগাহে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদের জামাতে অংশ নিতে শোলাকিয়া ঈদগাহে মানুষের ঢল নেমেছে। শোলাকিয়া মাঠের প্রবেশ পথগুলো মানুষে মানুষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। এর মধ্যে শহরের পুরাতন থানা থেকে গাছ বাজার, আজিম উদ্দিন স্কুল থেকে বনানী মোড়, সতাল থেকে পুরাতন থানা, রগুখালি থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহসহ মাঠের আশাপাশের অলিগলির সড়ক গুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।
ভোর থেকেই শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। কেউ গাড়িতে চড়ে, কেউ ইজিবাইকে, কেউ সাইকেলে, কেউবা পায়ে হেঁটে আসছেন। প্রতিবারের মতো এবারও মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে, অন্যটি ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছে। নামাজের সময় দূর দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের অংশগ্রহণে মাঠসহ আশাপাশের রাস্তা ঘাট ও বাসাবাড়ির ছাদ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এই নামাজে অন্তত কয়েক লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ১০টায় জামাত শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হবে।
ঈদগাহ এলাকায় কয়েকটি মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মোতায়েন রয়েছে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে রয়েছে বিপুল সংখ্যক স্কাউট সদস্য।
ঈদের জামাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে শোলাকিয়া ও আশাপাশের এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাবেস্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হচ্ছে ঈদগাহ মাঠে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাসিমুখে সহযোগিতা করতে দেখা যায় মুসল্লিদের।
এদিকে স্থানীয় কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি’র পক্ষ থেকে দূর দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য ঠান্ডা পানিসহ বিভিন্ন খাবার নিয়ে মাঠের চারপাশের প্রবেশদ্বারে কাজ করছেন তার সমর্থকরা।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, দূর দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিরা যাতে গরমে কষ্ট না পায় এজন্য আমাদের এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ঠান্ডা পানিওসহ বিভিন্ন খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। মাঠের চারপাশের প্রবেশদ্বারে আমাদের কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক মুসল্লিদেরকে শরবত, ঠান্ডা পানীয়, সেমাই, ফায়েশসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিচ্ছেন।

নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখবেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ।
ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫ প্লাটুন বিজিবি, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঠে সাদা পোষাকে নজরদারি করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তাছাড়া মাথার উপরে উড়ছে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরসহ প্রবেশ পথগুলো সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মাঠে স্থাপিত ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে বাইনোকোলার ও স্নাইপার রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। শোলাকিয়া এলাকা ও শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি।

//এস//

Related Articles

Back to top button