ঈদের আগে চলতে পারে যানবাহন
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে ১৪ জুলাইয়ের পরেও থাকতে পারে বিধিনিষেধ। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আসতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পশুর হাটে আসার জন্য সীমিত পরিসরে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে খুলে দেওয়া হতে পারে বিপণিবিতানও। আবার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদে সবাইকে কর্মস্থলে রাখারও চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
এ বিষয়ে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে। এরপর মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে। তবে বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকছে কি-না, সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার যে সংক্রমণ পরিস্থিতি, সেটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দিকেই সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সংক্রমণ এবার এমনভাবে ছড়িয়েছে, সেটা খুবই আশঙ্কাজনক। ১৪ জুলাইয়ের পরের সময়ও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এ সংক্রমণ কমাতে চাই, তাহলে এ প্রক্রিয়া কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে।
তিনি বলেন, যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট আছে, এ দুটিকে কীভাবে করলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাটগুলো যাতে নিরাপদ জায়গাতে হয়, খোলা জায়গায়, যেখানে তিনটি গেট থাকতে পারে। একটি দিয়ে ক্রেতারা ঢুকবেন, তারা পশু কিনে নিয়ে আসবেন। আরেকটি দিয়ে পশু ঢোকানো হবে।
তিনি বলেন, হাটে যাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতা ঢোকে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। অবশ্যই হাটে এলে একা বা বেশি সংখ্যক না এসে সঙ্গে একজন যাতে থাকে। সংক্রমণ ও মৃত্যু মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অতিরিক্ত মানুষ যাতে না ঢোকে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা এবং দ্রুত যাতে বেরিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা রাখা। তবে এর ওপর আমরা চাইছি যে, গতবার যেহেতু ২৫ শতাংশ সাকসেসফুল করেছি ডিজিটাল হাটকে… অনলাইনের যে হাটগুলো, সেগুলো যাতে আরও জনপ্রিয় করা যায়, সেটিতে এবার আরও জোর দিচ্ছি।
এর আগে বিকেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শে চলমান বিধিনিষেধ আবারও বাড়তে পারে।
গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলমান অবস্থায় গত ৫ জুলাই আরও ৭ দিনের জন্য বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
দেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
এ নিয়ে করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪১৯ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।
চিত্রদেশ//এফটি//