আড়াই হাজারে জাপানের সাথে যৌথ জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের প্রধাণ শিল্পঅঞ্চল নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে জাপানের সাথে যৌথ (জিটুজি) চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বেজা ও জাপানের সুমিতোমো করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে প্রায় এক হাজার একর জমির উপর নির্মাণাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চল আগামী আড়াই বছরের মধ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাপানের অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টোয়া কর্পোরেশনের সঙ্গে ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, সংযোগ সড়ক, জলাধার ও পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের চুক্তি হয়।
চুক্তিতে উল্লেখ্য স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমাদ কায়কাউস, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি হিরাতা হিতোশি, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার হিরোয়ুকি ইয়ামায়া, জেট্রো বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্ডো, সুমিতোমো কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার ইচিরো তাকাহাশি এবং টোয়া কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ অফিসার মাসাকি উয়েমাতস। ,
২০২২ সালের জুনের মধ্যে সেখানে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করবে টোয়া করপোরেশন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ মে জাপানের সুমিতোমো করপোরেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের চুক্তি করে বেজা। প্রথম দিকে একে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল বলা হলেও এখন কাগজে কলমে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড।
পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ৫০০ একর জমির অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বাকী অধিগ্রহণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ১৯৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
মুখ্য সচিব আহমাদ কায়কাউস বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র এবং দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগে তারা আস্থা পাবে, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বেজা কথায় নয়; কাজে বিশ্বাসী। জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বিদেশি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের কাজে একটি বড় মাইলফলক।
অনুষ্ঠানে জানান হয়, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির শিল্প স্থাপনের সুবিধা সম্প্রসারণ, জাপানিজ এবং অন্যান্য স্থানীয় বিনিয়োগ আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
বেজা আশা করছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে সেখানে প্রায় ২০ বিলিয়ন সমমূল্যের জাপানি বিনিয়োগ আসবে, যার অধিকাংশই হবে জাপানের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ছাড়াও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত হবে একটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট।
চিত্রদেশ//এইচ//