আসন্ন বাজেটে ঢাকা চেম্বারের ১১ প্রস্তাব
স্টাফ রিপোর্টার:
কর্পোরেট কর কমানো এবং ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়নোসহ ব্যবসায় সয়াহক পরিবেশ নিশ্চিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
বুধবার (২৫ মার্চ) ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনাগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন-এর নিকট পেশ করেন সংগঠনটির সভাপতি শামস মাহমুদ।
এসময় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে এ বছরের বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানায় সংগঠনটি। যাতে করে সরকার, সাধারণ জনগণ এবং বেসরকারিখাত এ অবস্থা উত্তরণে সহায়ক নীতিমালা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে পারে।
ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ, প্রগেসিভ হারে সব স্তর থেকে কর্পোরেট কর হার আগামী ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে হ্রাস করার প্রস্তাব করেন। কর্পোরেট ডিভিডেন্ডের আয়ের উপর ২০ শতাংশ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়, যাতে করে হ্রাসকৃত কর্পোরেট ট্যাক্স পুনঃবিনিয়োগ করা হয়। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ কর আহরণের নতুন উৎস সৃষ্টি হবে।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা হতে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা এবং ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর সর্বনিম্ন হার ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ এ হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমান মূদ্রাস্ফীতির হার ও বর্ধনশীল জীবনযাপনের ব্যয় বিবেচনায় রেখে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলে করে ঢাকা চেম্বার।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কর পক্রিয়া সহজীকরণ ও করের আওতা বৃদ্ধির জন্য সম্পূর্ণ অটোমেটেড অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেন, যার ফলে দেশের কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হবে এবং ব্যবসার পরিবেশ সূচক উন্নয়নে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
ডিসিসিআই’র সভাপতি, ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াত নেওয়ার সুযোগ প্রদানের পরিবর্তে ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ, ১০ শতাংশ অথবা যেকোনো হারে ভ্যাট প্রদান করলে কর রেয়াতের সুযোগ প্রদানেরও প্রস্তাব করেন।
শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করার জন্য রফতানিমুখী শিল্পপণ্য উৎপাদন বাড়াতে ও রফতানিবহুমুখীকরণকে উৎসাহিত করতে শিল্পপণ্য উৎপাদনে সকল প্রকার কাঁচামাল ও মেশিনারিজ এর উপর অগ্রিম কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতের ডিজাইন এবং ডামি সেন্টার, স্যাম্পল, ইটিপি, জ্বালানি দক্ষতা এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য ও সেবার উপর ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব দিয়েছে।
এছাড়াও এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক টার্নওভারের লিমিট ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করে সংগঠনটি। পণ্যের ভ্যালু এডিশন বা মুনাফা অনুপাতে ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণের আওতা এবং মান বৃদ্ধি করতে সঞ্চালন ও বিতরণ-এ বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান এবং বিদ্যুৎ খাতের আমদানি বিকল্প ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পসমূহকে উৎসাহিত করতে বেসরকারি খাতকে সাব-স্টেশন যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ উৎপাদনে কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার।
চিত্রদেশ//এল//