প্রধান সংবাদরাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শনিবার

স্টাফ রিপোর্টার:
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ঈদের পরে এই কার্যক্রমে আরও গতি বাড়াতে চায় দলটি। এরই অংশ হিসেবে এই সভার আয়োজন।

করোনার কারণে প্রায় আড়াই বছর পরে এবারের সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং দলের আগামী জাতীয় সম্মেলনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ও দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ ছাড়া সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা সম্মেলন দ্রুত শেষ করা এবং সম্মেলন হওয়া কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে আলোচনা হবে। গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আসতে পারে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের বিষয়ে। আলোচনা হতে পারে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির শূন্য পদ নিয়েও। একই সঙ্গে সভায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলা এবং দেশ-বিদেশের নানা ষড়যন্ত্র প্রতিহতের বিষয়েও আলোচনা ও দিকনির্দেশনা আসবে।

সভায় দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সফলভাবে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলা এবং সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সভায় মূলত সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলাপ-আলোচনা হবে। এ ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোর সম্মেলন ও সম্মেলন হওয়া কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ও আলোচনায় উঠবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা, ঈদের আগে গৃহহীন ও ভূমিহীন প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে ঘর উপহার দেয়ার এজন্য আমরা সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সাংগঠনিক, রাজনৈতিক, দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত, আর্থ-সামাজিক চলমান ইস্যুসহ বেশ কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন, তৃণমূলে বিভক্তির রাজনীতি দূরীকরণ, এমপি-মন্ত্রীদের বলয় ভাঙাসহ সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিতে পারেন সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পরবর্তী জাতীয় সম্মেলন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে নাকি আগে বা পরে হবে সে সিদ্ধান্তসহ সম্মেলনের প্রস্তুতির আরও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে ওই দিনের সভায়।

দীর্ঘসময় করোনা মহামারীর পর এটাই প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির বৈঠক। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমসংখ্যক নেতাকে নিয়ে বৈঠক হতো। গত বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সাংগঠনিক টিমগুলোকে জেলা সফর ও মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক কমিটিগুলোর সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button