অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা
স্পোর্টস ডেস্ক:
কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে মেসি ম্যাজিকেই শেষ আটে পৌঁছে দিল আর্জেন্টিনাকে। সেমিফাইনালে দিয়েগো মারাদোনার দেশের সামনে নেদারল্যান্ডস। স্টেডিয়ামের গ্যালারি আজ ছিল নীল-সাদায় পরিপূর্ণ। বল দখলের লড়াইয়ে আগাগোড়া এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে ২-১ হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়াকে।
এর আগে ৭ বার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা, জিতেছে ৫ বারই। একটি ম্যাচে হেরেছে, ড্র হয়েছে এক ম্যাচে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে ৯০ মিনিটের যুদ্ধে মেসির আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। দেশ ও ক্লাব মিলিয়ে এদিন ১০০০তম ম্যাচটি খেললেন তিনি। গোলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭৮৯। নীল-সাদা জার্সিতে ১৬৯ ম্যাচ ছিল মেসির। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৯৪ তম গোল মেসির। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এদিনই প্রথম গোল করলেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় গোল। সোনার বুটের দৌড়ে তিনি ধরে ফেললেন এনার ভ্যালেন্সিয়া, কিলিয়ান এমবাপে, কডি গাকপো, আলভারো মোরাতা ও মার্কাস রাশফোর্ডকে। সকলেই এখনও অবধি তিনটি করে গোল করেছেন।
যেভাবে ম্যাক আলিস্টারের পাস থেকে ছোট্ট জায়গা কাজে লাগিয়ে ফিনিশ করে গেলেন সেটা বোধহয় একমাত্র মেসির পক্ষেই সম্ভব। শটটি আটকানোর মতো পরিস্থিতিতেই ছিলেন না অজি গোলকিপার। বিরতিতে মেসির এই গোলেই এগিয়ে ছিল লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা।
বিরতি থেকে ফিরে প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনা প্রেসিং ফুটবল খেলে সকারুদের বিব্রত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে থাকে। কাই রাওলেসের খারাপ ব্যাক পাস অস্বস্তি বাড়ায় অস্ট্রেলীয় গোলকিপার ম্যাট রায়ানের। তার পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ৫৭ মিনিটের মাথায় তা জালে জড়িয়ে আর্জেন্তিনাকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন হুলিয়ান আলভারেজ।
এদিন আনহেল দি মারিয়াকে প্রথম একাদশে রাখেননি আর্জেন্তিনার কোচ স্কালোনি। আলেহান্দ্রো গোমেজকে শুরু থেকে খেলান। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরাতে সকারুরা মরিয়া থাকবে আঁচ করে গোমেজকে তুলে নিয়ে লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে নামিয়ে রক্ষণভাগে ফুটবলার বাড়ান আর্জেন্টিার কোচ স্কালোনি। তার মিনিট সাতেক পরেই আসে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি।
ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মেসিদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিলেন গুডউইন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট মারেন গুডউইন। বক্সের মধ্যে এনজো ফার্নান্ডেজের মাথায় লেগে বলের দিক বদলে যায়। কিছু করার ছিল না গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসের। আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয় এনজো ফার্নান্ডেজের নামে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-১।
তবে ২-১ ব্যবধান দেখে অনেকের মনে হতেই পারে অস্ট্রেলিয়া দারুণ লড়াই করেছে। তবে সেটা ভাবলে ভুল। শেষ দিকের কয়েকটা মিনিট দপ করে জ্বলে ওঠা, আর পুরো ম্যাচজুড়ে জেতার তাগিদ দেখানোর মধ্যে ফারাক আছে। ছন্দ ফিরে পাওয়া আর্জেন্টিনা দিন শেষে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল।