সম্মান অর্জন সবার ভাগ্যে জোটে না। অথবা সম্মান অর্জন সবার জন্য নয়। একে শুধু অর্জন করলে হয় না ধরে রাখতে হয়। প্রত্যেকটা মানুষের আসলে আত্মউপলদ্ধি, আত্ম-চেতনা থাকা প্রয়োজন। এই আত্মসচেতনতা তার একদম নিজস্ব ভাবেই তৈরি করতে হয়। অনেক সময় পরিবেশ বা বিশেষ কারণে মানুষের আত্ম উপলব্ধি বিলম্বে হয়। তখন হয়তো সে নিজের শক্তি অনেকখানিই হারিয়ে ফেলে। সবাই যে সবকিছু পারবে তাও নয়।তবে মানুষ চাইলে নিজের ভিতরে যে গুণগুলো আছে তা কাজে লাগিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। হয়তো তখন সময় একটু বেশি লাগে। কারণ ”সময়ের এক ফোঁড় আর অসময়ের দশ ফোঁড় একটা কথা আছে । ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম, সততা, আন্তরিকতা, সময়ানুবর্তিতা, ভালো চরিত্র, ভাল ব্যবহার ইত্যাদির সমাবেশে মানুষ সাফল্যের মুখ অবশ্যই দেখে। কিন্তু এই সাফল্যকে সমানভাবে ধরে রাখার জন্যও রাখতে হয় প্রচন্ড মানিসক শক্তি। অহংকার ও দূর্ব্যবহার অনেক সময়ই মানুষের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। তখন সে নিজের সম্মান নিজেই হারিয়ে ফেলে । সম্মান নিজেকেই ধরে রাখতে হয় আপন বৈশিষ্ট্য, দৃঢ়বিশ্বাস ও গুণাবলি দিয়ে।
আল্লাহতায়ালা মানুষকে যে সম্মান দান করেন তা কি সবার ভাগ্যে জোটে? কাজেই আল্লাহতায়ালার এই দানকে নিজেই সমুন্নত রাখা উচিত। কারণ সম্মান অনেক মূ্ল্যবান জিনিস। ”তিনি (আল্লাহ) বরকত অর্থাৎ কল্যাণ বর্ধক, যার হাতে সার্বভৌমত্ব রয়েছে এবং তিনিই সর্বশক্তিমান। তিনি সম্পদ ও কর্তৃত্ব দান করেন। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা নিজ দয়ায় বিশেষত্ব দান করেন এবং আল্লাহই মহাকল্যাণের অধিকারী”।