![](https://chitrodesh.com/wp-content/uploads/2020/02/efeea151-saving.jpg)
১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সঞ্চয়পত্র বিক্রি
স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট সংগ্রহ মাত্র ৫ হাজার ৪৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। তবে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২৭ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার। সে হিসাবে প্রথম ছয় মাসে এ খাত থেকে সরকারের অর্থ সংগ্রহের হার মাত্র ২০ শতাংশ। গত ১০ অর্থবছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রির সর্বনিম্ন অংক এটি।
সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল ২৪ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। এবারের ৬ মাসের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সময়ে মোট বিক্রি হয়েছে ৩৪ হাজার ২১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। এর মধ্যে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ২৮ হাজার ৭৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। সে হিসেবে নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকা।
এই ৬ মাসে সরকার আবার ১৫ হাজার ৬৯৫ কোটি ১০ লাখ টাকার মুনাফাও পরিশোধ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ভাষায় এ মুনাফা পরিশোধ করতে গিয়ে প্রতিবছর সরকারের সুদ ব্যয় বাড়ছে। ১০ বছরে এ খাতে সরকারের ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা সুদ বাবদ ব্যয় হয়েছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) চালু, ব্যাংক হিসাব বাধ্যতামূলক করা, অনলাইনে আবেদন চালু এবং অর্থের উৎস সম্পর্কে বিবরণ দেওয়া, একই দিন থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ হলেই উৎসে কর ১০ শতাংশ কেটে রাখারও নিয়ম করা হয়েছে। এসব কারণে এর বিক্রি কমে গেছে।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের আর্থিক পণ্য সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় দেশের ৭৫টি সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর শাখা কার্যালয় এবং ডাকঘরের মাধ্যমে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংক খাতে দীর্ঘমেয়াদি আমানতের সুদের হারও ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। যদিও সঞ্চয়পত্রের গড় সুদের হার ১১ শতাংশের মতো। সরকার অবশ্য সুদের হার কমানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
চিত্রদেশ //এস//