লাইফস্টাইল

শীতে যেভাবে যত্ন নেবেন বয়স্কদের

স্টাফ রিপোর্টার:
শীতে শিশুদের মতোই নানা সমস্যায় ভোগেন বেশি বয়সীরাও। তাই এ সময় তাদের দিকে একটু বিশেষ মনোযোগী হওয়া দরকার। শীতে প্রবীণরা নানা সমস্যাদি এবং এগুলোর সমাধান নিয়েই এই আয়োজন।

অসুস্থতা: শীতে বয়স্কদের নানা অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। তারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা শ্বাসনালীর প্রদাহ। শীতে ছড়িয়ে পড়া ফ্লু থেকে হতে পারে নিউমোনিয়া কিংবা অ্যাজমা। বেড়ে যেতে পারে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অসটিওআর্থ্রাইটিস ও যে কোনো জয়েন্ট পেইনের জটিলতা। তাই বাড়ির বেশী বয়সী সদস্যদের শীতের ঠাণ্ডা থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।

পোশাক: প্রবীণদের শীতের পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। মোটা কাপড় পরার চেয়ে কয়েকটি পাতলা আরামদায়ক কাপড় বেছে নেয়া যেতে পারে। এতে ঠাণ্ডা কম লাগবে। কারণ, কাপড়ের স্তরে স্তরে বাতাস জমা থেকে শরীর থেকে তাপ বাইরে বের হতে বাধা দেবে। সবসময় তারা যেন পরিমিত শীতবস্ত্র পরে থাকেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে বুক, কান ও পা ঢেকে রাখতে হবে গরম কাপড়ে। ঘুমানোর সময়, দিনে বা রাতে গলা ও কানে কাপড় কিংবা মাফলার জড়িয়ে রাখতে হবে। হাতে পায়ে পরতে হবে মোজা।

এছাড়া তার ঘরটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাশ প্রবেশ করে। এতে ঘরটা বেশ গরম থাকবে এবং শীত কম লাগবে। আরাম অনুভব হবে। এটি সম্ভব না হলে রুম হিটারের ব্যবস্থা করতে হবে।

খাবার: শীতে বয়স্কদের বেশি করে শাকসবজি খেতে দিন। কারণ, গাজর, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, মিনারেল অভাব পূরণ করে শীতে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি তাদের জন্য নিয়মিত গরম দুধ ও স্যুপের ব্যবস্থা করতে হবে। দুধ হাড়ের জন্য খুব ভালো।

গরম খাবারের পাশাপাশি তাদের গরম পানি খেতে দিন। গরম পানি দিয়ে গোসল, অজু ও অন্যান্য কাজ করতে দিন। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং বাড়ির প্রবীণ মানুষটি আরাম পাবে।

হালকা ব্যায়াম: বয়স হয়েছে বলেই সারাদিন শুয়ে বসে কাটাতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তাদের কে ঘরের ভেতর হালকা ব্যায়াম কিংবা হাঁটাহাটি করতে বলুন। চাইলে বিকালে তাদের নিয়ে পার্কে বা পছন্দসই কোনো স্থানে বেড়াতে যেতে পারেন। এতে তাদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।

অন্যান্য যত্ন: শীতে বয়স্কদের ত্বক আরো রুক্ষ হয়ে পরে। তাই তাদের জন্য মানসম্মত ক্রিমের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত নখ কেটে দিতে হবে। পাশাপাশি আপনার পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তিটি অসুস্থ হলে দ্রুত তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। মানসিক প্রশান্তির জন্য তার বিনোদনের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পারলে সপ্তাহান্তে তাকে কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে কিংবা রেস্তোরায় খেতে নিয়ে যেতে পারেন। সেটা সম্ভব না হলে তাদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। কেননা আপনজনদের সাথে কথা বলতে তারা খুব খুশি হন। অনেক সময় এটাও তাদের জন্য একটা বিনোদন হতে পারে। তাই তাদের কেবল যত্নআত্তিই শেষ কথা নয়, তাদের কিছুটা সময় দিতে হবে।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button