আয়োজন

শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে পার্বত্য মেলা

স্টাফ রিপোর্টার:
শিল্পকলা একাডেমিতে প্রবেশ করার আগেই কানে ভেসে এলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভাষার মিষ্টি সুর। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ জুড়ে স্টলে স্টলে দেখা মিলছে পাহাড়ের ফলফলাদি, খাবার ও পোশাক। যেন সমতলে একখণ্ড পাহাড়! এমন চমৎকার আবহ নিয়েই শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে চার দিনব্যাপী ‘পার্বত্য মেলা।’

পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন-সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজন করেছে এই মেলার। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ৪ পার্বত্য মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। এসময় তিনি বলেন, ‘পার্বত্য এলাকার মানুষ যেন দেশের অগ্রগতির সঙ্গে সমানতালে চলতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার।’

কৃষি, খাদ্যপণ্য, হস্তশিল্প থেকে শুরু করে নিজস্ব কায়দায় বানানো পাহাড়ি খাবারের সমাহার দিয়ে সাজানো হয়েছে মেলার শতাধিক স্টল। পাহাড়িদের পাশাপাশি ভিড় করছেন বাঙালিরা। সব মিলিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি।

মেলা ঘুরে দেখা মিললো বাহারি সব পাহাড়ি পিঠার। স্বাদ নেওয়া যাবে কলাপাতায় মোড়ানো বিভিন্ন ধানের তৈরি বিশেষ এক ধরনের পিঠা, কাঁকড়া ফ্রাইসহ হরেক রকমের খাবারের। আছে পাহাড়ি কাঁচা হলুদ, কফি, লাল, কালো ও সাদা বিন্নি চাল। দেখা মিলছে নাম জানা-অজানা সব জুম ফলের। মেলা প্রাঙ্গণে পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ের আকর্ষণ পাহাড়ি পোশাকে। পোশাকের মধ্যে লুঙ্গি-গামছা থেকে শুরু করে বিছানার চাদর, গায়ের চাদর, ফতুয়া, থামি রয়েছে। রয়েছে বাঁশ ও বেতের তৈরি সব আসবাবপত্র, চেয়ার, ফুলদানি। হাঁসুলি, ঝুমকা, চোকার, নানা ধরনের মালা, ব্রেসলেটসহ রয়েছে নজরকাড়া সব পাহাড়ি অলংকার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুটন্ত চাকমা বলেন, ‘মেলায় আমাদের পাহাড়ের সব সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে।

মেলার ৪ দিনই রয়েছে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে পাহাড়ি গান-নৃত্য পরিবেশন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে পাহাড়ি শিল্পীরা।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button