মগবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঘিরে নিরাপত্তা বলয়, ধসের শঙ্কা
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কর্মীরা। ওই ভবনসহ এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, ধসে পড়ার শঙ্কা আছে। তাই দ্বিতীয় কোনো ঘটনা না ঘটে সে জন্য ঘটনাস্থলে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ভবনটিতে বিস্ফোরণে ঘটনা সূত্র এখনো জানা যায়নি। উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খতিয়ে দেখছে।
যে ভবনে বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছে সেটি তিনতলা। নিচতলায় এসি ও রেফ্রিজারেটর মেরামতের দোকান ছিল। সেটি থেকেও বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও ভবনের জেনারেটরেরও বিস্ফোরণ হতে পারে। এছাড়াও ভবনের গ্যাস পাইপে লিকেজ থেকেও এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বিস্ফোরণের এই ঘটনাটি কোনো নাশকতার কারণে হয়েছে কিনা সে বিষয়ে ডিএমপির থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহে কাজ করছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কর্মীরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভবনের নিচ তলা থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত ঘটতেপারে। তবে সেটিও তদন্ত সাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে। ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তার সঙ্গে ভবনটির অবস্থান। বিস্ফোরণে পাশের আড়ংয়ের শোরুমের ১৪ তলা ভবনের ৪-৫ তলা পর্যন্ত জানালার কার্নিশ ধসে পড়েছে। ভবনটির নিচতলায় বাণিজ্যিকভাবে মার্কেট ও দোকানপাট করা হয়েছিল। ভবনে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের রমনা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. ফয়সালুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভবনের নিচতলার ভেতরেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
এদিকে ভয়াবহ এবিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউট মিলে ৪৮ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
/
চিত্রদেশ//এফটি//