রাজনীতি

ভোট দিয়েই তাবিথের নালিশ

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর গুলশানের মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। শনিবার সকাল ৮ টায় তাবিথ তার ভোট দেন।

এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সিটি নির্বাচন নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় বিভিন্ন বিষয়ে নালিশ করেন বিএনপির এই প্রার্থী।

তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং সরকারি মহলের সর্বশেষ কি উদ্দেশ্যে, ‘তা আমরা আগে থেকেই জানতাম। তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে ঠেকানোর জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি, ভোটারদের ভোট প্রদানের মাধ্যেমে। যদি কোনো মনোভাব বদলায় নির্বাচন কমিশনের। আমরা হাল ছাড়ছি না, মনোবল ভাঙছি না। আমাদের মনোবল এখনও শক্ত আছে।’

তাবিথ আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় শুরুতেই এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আমি নিজে এখন যাবো কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরিস্থিত বোঝার জন্য। আমরা বুঝতে পারছি, আমাদের বিপক্ষ দল এত ভয় পেয়েছে, যে কারণে উনারা ভয় ভীতি, হামলা ও পোলিং এজেন্টদের বাধা দেয়ার পদক্ষেপ সকাল থেকেই নিয়েছে। তবে আমাদের শক্তি জনগণ। এই জনগণের শক্তি নিয়ে আমরা সারাদিন মোবাবিলা করব।

আপনাদের এই অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ইতোমধ্যে এসব অভিযোগ জানানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। যখন যে তথ্য আমরা পাচ্ছি তা জানিয়ে দিচ্ছি। প্রতিটি এলাকায় নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেটও থাকার কথা কিন্তু আমি এই কেন্দ্রে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট খুঁজে পাইনি। ভেতরে একটি মেশিন ব্রেক ডাউন হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে আমরা হয়তো যাচ্ছি না। তবুও ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছি উনারা যেন ভোট কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তারা যদি ভোট দিতে পারেন তাহলে আমরা ভোটের মাধ্যেমেই জয়লাভ করব।’

আজ ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়ালের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।

 

চিত্রদেশ//এইচ//

Related Articles

Back to top button