আবাসন

পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগের সুযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:
স্মার্টসিটি পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা গ্রুপ। ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচলে পরিকল্পিত এ আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলেছে গ্রুপটি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইউএস-বাংলা গ্রুপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পছন্দের আবাসন গড়ে তুলতে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে এখনই রেডি প্লট ক্রয় করে গ্রাহকদের প্লটটি বুঝে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে ইউএস-বাংলা এসেটস। ইউএস-বাংলা এসেটস ঢাকার অতি সন্নিকটে পূর্বাচলে গড়ে তুলেছে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি। এ প্রকল্প এমনভাবে পরিকল্পিত, যা একজন সচেতন ও আধুনিক চিন্তা-চেতনা ধারণ করা রুচিশীল নাগরিক স্বপ্নঘেরা একটি নান্দনিক শহর কল্পনা করেন। আধুনিক শহরের সব সৌন্দর্য আর চাহিদার অপূর্ব মিলনমেলার সংমিশ্রণ থাকছে এ প্রকল্পে।

এতে আরও বলা হয়, প্রকল্পে রয়েছে সবুজে ঘেরা দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল খেলার মাঠ, যার আয়তন ২০ বিঘা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। আগামীর পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য রাখতে ইউএস-বাংলা এসেটস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রকল্পে থাকছে সোলার হোম সলিউশন। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন উৎপাদনকারী গাছ বেঞ্জামিনা ফাইকাসসহ আরও অনেক বিদেশি গাছের সমন্বয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্পের সবুজায়নের কাজ। প্রকল্পজুড়েই থাকছে তারবিহীন সিসি ক্যামেরা, সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমসহ যাবতীয় অত্যাধুনিক সিকিউরিটি ব্যবস্থা। দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র সবুজে ঘেরা মনোরম স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সিস্টেমে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল অধিক সুরক্ষা দেয়। দেশের আবাসন প্রকল্পে পূর্বাচল আমেরিকান সিটি-ই প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল নির্মাণ করতে চলেছে। আগামীর কানেক্টিভিটি হিসেবে ঢাকা পূর্বাচল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সুবিধা, ঢাকা-সিলেট বাইপাস মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ, এশিয়ান হাইওয়ের (চট্টগ্রাম-মিয়ানমার-চীন) পাশেই প্রকল্পের অবস্থান। আবাসন প্রকল্পে জৈব বর্জ্য ডি কম্পোস্ট প্রযুক্তি দিয়ে উৎপাদিত হবে বিদ্যুৎ। গ্রিন এনার্জির প্রতি ইউএস-বাংলা বরাবরই মনোযোগী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে সুখ-স্বাচ্ছন্দে নিরাপদ বাসস্থান মানুষের যুগ যুগান্তরের চাওয়া।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের জি এম মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সবাই চায় নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যানজট, শব্দদূষণ, গাড়ির কালো ধোঁয়ার ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত, নিরিবিলি, সুস্থ স্বাভাবিক শান্তির নীড়। ‘পূর্বাচল আমেরিকান সিটি’ একটি নাম, একটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক।

তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৬৪ ফুট প্রশস্ত রাস্তা, ১৫০ ফুট প্রশস্ত লেক, লেক সাইট পার্ক, ১২ ফুট গ্রিন জোন, ১০ ফুট ওয়াকওয়ে, উন্নত ট্রাফিক সিস্টেম, নাইন হোল গলফ কোর্স, আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম, রিকশা ফ্রি সিটি। থাকবে ইলেকট্রিক ভেহিকেলস। প্রকল্পে সবুজায়নসহ লেক নির্মাণের কাজ চলছে।

প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী থাকবে ৫৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল স্টান্ডার্ড বোর্ডিং স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন স্কুল, সার্বক্ষণিক সার্ভিলেন্স টিম, এমিউজমেন্ট পার্ক, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ইনডোর স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিস। যেখানে থাকবে রুম ফ্যাসিলিটি, সেমিনার অ্যান্ড সিম্পোজিয়াম, আউটডোর প্লে গ্রাউন্ড, হেলিপোর্ট ইত্যাদি সুবিধা।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button